গনঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকারকে বিদায়ে বাধ্য করা হবে
আন্দোলনের জন্য সবাইকে প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, সামনে আন্দোলনের ডাক আসছে। যার যার অবস্থান থেকে যুগপৎভাবে একই ইস্যুতে আমরা আন্দোলন করব। সবাই একত্রিত হয়ে এই সরকারকে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বিদায় নিতে বাধ্য করব।
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
ড. মোশাররফ বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তা না হলে যে কোনো স্বৈরাচার সরকার যে পথে বিদায় হয়েছে সেই রাজপথই আমরা বেছে নিতে বাধ্য হব।
তিনি বলেন, বিদেশে যে দূতাবাসগুলো রয়েছে- তাদের দেশের এবং জনগণের পক্ষে কাজ করার কথা। কিন্তু তা না করে তারা সরকার এবং আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করছে। এটা অত্যন্ত নিন্দনীয়। জনগণের টাকায় যারা বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তা রয়েছেন তারাও জনগণের কথা না বলে আওয়ামী লীগের কথা বলছেন।
মোশাররফ বলেন, এই সরকারের অধীনে ভবিষ্যতে আর কোনো নির্বাচন হতে পারে না। ২০ দলীয় জোট আগেই জানিয়েছে, শেখ হাসিনার অধীনে তারা কোনো নির্বাচনে যাবে না। কেননা শেখ হাসিনার অধীনে গত দুটি নির্বাচনে প্রমাণিত যেখানে সুষ্ঠু নির্বাচন হয় না, জনগণ ভোট দিতে পারে না, সেই নির্বাচনের কোনো অর্থ হয় না।
তিনি বলেন, কিছুদিন আগে রাষ্ট্রপতি সংলাপের নামে একটি নাটক করলেন। আমরা আগেও বলেছি এটা একটা নাটক ছিল। কেননা সরকার দেশের জনগণকে আবার ধোঁকা দেওয়ার জন্য একটি আইন করেছে। এখন নির্বাচন কমিশন গঠন করার জন্য একটি সার্চ কমিটি গঠন করেছে। যাদেরকে দিয়ে সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে, সবাই আওয়ামী লীগের সমর্থক। তারা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন।
বিএনপির এই প্রভাবশালী নেতা আরও বলেন, এই সার্চ কমিটিকে শেখ হাসিনা বা সরকার যাদের নাম দেবে তাদের নিয়েই নির্বাচন কমিশন হবে। এটাতে অংশগ্রহণ করা, এটা নিয়ে মাথা ঘামানো আমরা মনে করি অর্থহীন। এটা হচ্ছে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সরকারের আরেকটি নাটক। এটা সরকারের চুরি-ডাকাতির নির্বাচন করার জন্য।
এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন- ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুর রকিব, এনডিপির চেয়ারম্যান আবু তাহের, ডিএল’র সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, জাগপা একাংশের সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, এলডিপির যুগ্ম মহাসচিব এমএ বাসার, এনপিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য নবী চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব ফরিদ উদ্দিন প্রমুখ।