রাজনীতি

কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ফয়দা লুটছে কারা !

 

স্টাফ রিপোর্টার (Somoysokal) নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমানের ভোট ব্যাংক ও আওয়ামীলীগের ঘাঁটি খ্যাত কুতুবপুর ইউনিয়নে এখন বিদ্রোহী ও গ্রুপিং রাজনীতি চর্চা হচ্ছে। আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক কাঠামো বেশ মজবুত হলেও গ্রুপিং রাজনীতির ভাইরাসে আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠন। তৃণমূল আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের প্রশ্ন, কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ফয়দা লুটছে কারা ! ত্যাগী নেতারা মনে করছেন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক কাঠামো দূর্বল করে ফয়দা লুটছে নিচ্ছে একটি পক্ষ।

নিজের নির্বাচনি এলাকার ভোট ব্যাংক ঠিক রাখার জন্য এমপি শামীম ওসমান তার আস্থাভাজন মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ নিজামকে দায়িত্ব দিয়েছিলো আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোকে সুসংগঠিত রাখতে। কিন্তু তিনি সব জায়গায় সুবিধা খুঁজতে গিয়ে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন, যার ফলে আজ কুতুবপুর ইউনিয়নে এখন গ্রুপিং রাজনীতি এবং বিদ্রোহী নেতার সংখ্যা বেশি।

ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম সাইফুল্লাহ বাদল ও সাধারণ সম্পাদক এম শওকত আলী, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবলীগের সভাপতি সাহাদাত হোসেন ভূইয়া সাজনু, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী তারা সবাই শামীম ওসমানের আস্থাভাজন কর্মী। কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা এদের কারো না কারো অনুগামী হিসেবে রাজনীতি করে যাচ্ছে। এতে করে কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের রাজনীতি এখন গ্রুপিং রাজনীতিতে পরিণত হয়েছে। তাছাড়া নেতৃত্বের অভাবে নতুন করে কিছু বিদ্রোহী নেতার সৃষ্টি হয়েছে।

একসময়ের আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ আজ কেনো ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এমন প্রশ্নের উত্তরে, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম শওকত আলী মুঠোফোনে বলেন, কুতুবপুরে সাংগঠনিক ভাবে নেতাকর্মীদের মধ্যে মতবিরোধ আছে। আমরা সবার সাথে আলাপ আলোচনা করে এর সমাধান করে কুতুবপুরকে আবার সুসংগঠিত করবো।

এদিকে সিনিয়র রাজনীতিবিদরা বলছেন, সাংগঠনিক ভাবে কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ দূর্বল থাকার কারণে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো চাঙ্গা হয়ে উঠছে। এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যত রাজনীতি নিয়ে তৃণমূল আওয়ামীলীগে আর চাঙ্গা হতে পারবে না কুতুবপুর ইউনিয়ন। এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে হলে খুব দ্রুত এমপি শামীম ওসমানের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।

Back to top button