সাংগঠনিক অভাবে ভুগছে কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো
স্টাফ রিপোর্টার (Somoysokal) নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমানের ভোট ব্যাংক হচ্ছে কুতুবপুর ইউনিয়ন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের বক্তব্যে শুনা যায় কুতুবপুরের ভোট দিয়েই নাকি নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন শামীম ওসমান। সেই কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো এখন সাংগঠনিক অভাবে ভুগছে। জরাজীর্ণ হয়েগেছে কুতুবপুর ইউনিয়নের রাজনৈতিক কাঠামো। কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে এখন চারোদিকে হতাশ আর হশাত। কি হবে ভবিষ্যতে কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের রাজনীতি তা কেউই বলতে পারছে না এখন।
এদিকে এমপি শামীম ওসমান তার আস্থাভাজন মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ নিজামকে দায়িত্ব দিয়েছিলো আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোকে সুসংগঠিত রাখার জন্য। কিন্তু তিনি ব্যর্থ হয়েছেন, যার ফলে কুতুবপুরে এখন বিদ্রোহী নেতার সংখ্যা বেশি।
গত (২৬ মার্চ) বিকালে কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মানিক চান, বেশ কিছু নামি-দামি নেতা নিয়ে বসেছিলেন আওয়ামীলীগের সদস্য পদ নবায়ন ও নতুন সদস্য করার ফরম বই কে কয়েকটি পাবে সেই বিষয় আলোচনা করতে। কিন্তু সেখানে কোনো নেতাই বই নেননি বিদ্রোহী করেছে অনেকে। ঐ মিটিংয়ে কুতুবপুর ইউনিয়ন ১,২ ও ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. সালাউদ্দিন ভূইয়া, ৪,৫ ও ৬নং ওয়ার্ডের সভাপতি মো. আলাউদ্দিন হাওলাদার ও সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম এবং ৭,৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের সভাপতি মো. রাহাদ আলি সহ তারা সবাই একি সুরে বলেন, আমরা বই নিলে আমরা যাকে সদস্য বানানো তাকে আপনারা বাদ দিতে পারবেন না। এই বিষয়ে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে তাদের অনেক তর্কাতর্কি হয়। যার ফলে সদস্য পদ নবায়ন ও নতুন সদস্য করার ফরম বই নেওয়ার বিষয়টি অমিমাংশিত থেকে যায়। ঐ মিটিংয়ে ফাতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মোস্তফা কামাল ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এইচ এম ইসহাক মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের তৃণমূল পর্যায়ের কর্মীরা বলছেন, বর্মতানে কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের রাজনীতি বেহাল অবস্থা। কিছু নেতারা এই ইউনিয়নের রাজনীতিকে ঘোলাটে বানিয়ে ফেলছে।এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক আনতে হলে এমপি শামীম ওসমানের হস্তক্ষেপ করতে হবে।