রনির সমন্বয়হীনতায় আটকে যুবদলের কমিটি

নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনির সমন্বয়হীনতা ও কালক্ষেপনের কারণে ঝুলে আছে জেলা যুবদলের পূর্নাঙ্গ কমিটি। বারবার কেন্দ্রের নির্দেশনা দেওয়া সত্ত্বেও পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠনে ব্যর্থ জেলা যুবদলের শীর্ষ নেতারা। এ জন্য ক্ষুব্ধ ও হতাশ তৃণমূল নেতা-কর্মীরা।
কবে পূর্ণাঙ্গ কমিটি হবে, সময়ের সকালের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে জানার জন্য যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনির ফোনে একাধিকবার কল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হোয়াটস অ্যাপে ক্ষুদেবার্তা পাঠানো হলেও তিনি কোনোটাই রেসপন্স করেননি।
তবে, এ বিষয়ে কথা হয়েছে জেলা যুবদলের আহবায়ক সাদেকুর রহমান সাদেকের সাথে। তিনি সময়ের সকালকে জানিয়েছেন, পূর্ণাঙ্গ কমিটি এখনো কেন্দ্রে জমা দেয়নি। কারণ আমার সেক্রেটারি রনির কারণে ধীরগতি হচ্ছে। আমার কোনো আন্তরিকতার ঘাটতি নেই। বারবার রনি সময় নিচ্ছে। এ বিষয়টি কেন্দ্রকে আমি জানিয়েছি।
কেন ধীরগতি হচ্ছে এ বিষয়ে আহবায়ক বলেন, তার লোকজন বেশি এরকম সে বুজাইতে চাইতাছে। সে ছাত্রদল করছে। তার ছাত্রদলের ছেলে আছে। যুবদলের আগের কমিটিতে সে সদস্য সচিব ছিলো। অনেককে নিয়ে সে রাজনীতি করেছে। সে কারণে কিছু সমন্বয়হীনতা হচ্ছে ও কালক্ষেপন করতাছে। আমি কোনো সময় নেয়নি। কইলে আমি এক ঘন্টার মধ্যে কমিটি দেওয়ার ক্ষমতা রাখি। যারা রাজপথে ছিলো তাদেরকে আমি কমিটিতে রাখবো। আমাকে টোপ দিয়ে কোনো লাভ হবে না। যারা আন্দোলন সংগ্রামে আমার সাথে ছিলো তাদেরকেই কমিটিতে রাখবো। এবার কেউ খুশি হোক অথবা নারাজ হোক।
এ বিষয়ে সময়ের সকালের পক্ষ থেকে জেলা বিএনপির আহবায়ক মামুন মাহমুদের ফোনে একাধিকবার কল করা হলে তিনি কলটি রিসিভ করেননি। যদিও তার বক্তব্যটি খুব জরুরি ছিলো।
যুবদলের একাধিক নেতার সঙ্গে আলাপে জানা গেছে, রনির সমন্বয়হীনতায় কারণেই পূর্নাঙ্গ কমিটি জমা দেওয়া হয়নি। রনি বারবার সময় চাইতাছে। রনি আজকে না কালকে, দুইদিন না ছয়দিন পরে এই অবস্থা। সন্তান অসুস্থসহ বিভিন্ন দোহাই দিয়ে কমিটি জমা দেননি রনি। তিনি কমিটিতে নিজের মাইম্যান নিতে চাচ্ছে। তারেক রহমানের নির্দেশনা রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে যারা ছিলো তাদেরকে কমিটিতে অন্তভুক্ত করা হবে। অথচ রনি নিজের মাইম্যান দিয়ে পকেট কমিটি করতে চাচ্ছে। আমরা তারেক রহমান ও যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে আবেদন জানাচ্ছি দ্রুত সময়ের মধ্যে কমিটি ঘোষনা করার।
২০২৩ সালের ২৯ আগস্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের তিন সদস্যবিশিষ্ট আংশিক আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন তৎকালীন যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন।
ওই কমিটিতে আহ্বায়ক পদে সাদেকুর রহমান সাদেক, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক খায়রুল ইসলাম সজীব ও সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনিকে দায়িত্ব দেয়া হয়। কমিটি গঠনের পর থেকেই সাদেকুর রহমান সাদেক ও খাইরুল ইসলাম সজীব একজোট হয়ে দলের কর্মসূচি পালন করেন। পৃথকভাবে সদস্য সচিব মশিউর রহমার রনি জেলা যুবদলের ব্যানারে কর্মসূচি পালন করে আসছেন। ফলে জেলা যুবদলে দলীয় কার্যক্রমে স্থবিরতা নেমে এসেছে। নেতারা রাজপথের আন্দোলন-মিছিল-মিটিংয়ে অংশ নিচ্ছেন ঠিকই, পূর্নাঙ্গ কমিটি না থাকায় দলীয় পরিচয় তারা দিতে পারছেন না।