তারেক রহমানের ‘গ্রিন সিগন্যাল’র তালিকায় আজাদ মান্নান দিপু

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ২৬ জুলাই দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নারায়ণগঞ্জ বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেখানে থাকা উপস্থিত নেতারা বলছেন, তারেক রহমান তার বক্তব্যে যে ইঙ্গিত দিয়েছেন তাতে ধারণা করা হচ্ছে, নারায়ণগঞ্জ এর ৫টি আসনের মধ্যে ১-২-৩ আসনে তিন হেভিওয়েট প্রার্থী গ্রিন সিগন্যাল পেয়েছেন, বাকি ২টি আসনে রদবদল হতে পারে।
গ্রিন সিগন্যাল পেয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-১ আসন থেকে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ১নং যুগ্ম আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভূইয়া, নারায়ণগঞ্জ-২ আসন থেকে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ ও নারায়ণগঞ্জ-৩ আসন থেকে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সোনারগাঁ থানা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান।
নেতাকর্মীরা বলছেন, তারেক রহমান সাহেব বক্তব্যে বলেছেন বিগত দিনে আন্দোলন সংগ্রামে ও নেতাকর্মীদের মনোবল বাড়াতে যারা রাজপথে ছিলেন তাদের দিয়ে আগামী সংসদ সদস্য নির্বাচন করানো হবে বলে ইঙ্গিত দেন।
আড়াইহাজারের নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, নিজ পরিবারের মত করে দলীয় নেতাকর্মীদের আপন মনে করেন বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ। জুলাই আন্দোলনসহ পূর্ববর্তী আন্দোলন সংগ্রাম, দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচীতে সব সময় রাজপথে নেতাকর্মীদের নিয়ে সক্রিয় থেকেছেন তিনি। দলের দুঃসময়ে বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীদের পাশে তিনি দাঁড়িয়েছেন। এসব কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে বিভিন্ন সময় তাকে সরকারি দলের রোষানলে পড়ে অনেক মামলার আসামী হতে হয়েছে। দলীয় আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা থাকায় তাকে কারাবরণও করতে হয়েছে। জুলাই আন্দোলনে সক্রিয় থাকায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে মেরে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এমনকি ২০১৮ সালে নির্বাচনে অংশ করায় আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম বাবু তার বাড়িতে একাধিকবার হামলা করেছিলেন বলে জানান নেতাকর্মীরা। বর্তমানে নেতাকর্মীদের ভালোবাসা তার প্রতি বেড়েছে দিগুন। আড়াইহাজার বিএনপির আগামী দিনের কান্ডারি হিসেবে নেতাকর্মীরা এখন আজাদের উপরই ভরসা রাখতে চান।
সোনারগাঁয়ের নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বিএনপির দু:সময়ে সোনারগাঁ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনগুলোকে একত্র করে এক ছাতার নিচে ধরে রেখেছেন আজহারুল ইসলাম মান্নান। বিগত জুলাই আন্দোলন সহ পূর্ববর্তী আন্দোলন সংগ্রামে নেতাকর্মীদের নিয়ে রাজপথে নেমে পড়তেন এবং আন্দোলন-সংগ্রাম সফল করতেন। এ সকল কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে বিগত সময়ে হামলা মামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন আজহারুল ইসলাম মান্নান ও তার ছেলে জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক খাইরুল ইসলাম সজিব। বেশ একাধিকবার মামলার আসামি হয়ে জেলও খেটেছেন মান্নান। এমনকি আওয়ামী লীগের রোষানলে পড়ে বিভিন্ন সভা সমাবেশের আগে তার বাড়িতে পুলিশ সদস্যরা তল্লাশি চালায় তাকে গ্রেফতার করতে। বর্তমানে নেতাকর্মীদের ভালোবাসা তার প্রতি বেড়েছে দিগুন। সোনারগাঁ বিএনপির আগামী দিনের কান্ডারি হিসেবে নেতাকর্মীরা এখন মান্নানের উপরই ভরসা রাখতে চান।
রুপগঞ্জ নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বিগত জুলাই আন্দোলন সহ পূর্ববর্তী আন্দোলন সংগ্রামে রাজধানীসহ নারায়ণগঞ্জে চমক দেখাতেন দিপু ভূইয়া। তার ডাকে নেতাকর্মীর জোয়ার বয়ে যেতো। দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচীতে সব সময় রাজপথে নেতাকর্মীদের নিয়ে সক্রিয় থেকেছেন তিনি। দলের দুঃসময়ে বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীদের পাশে তিনি দাঁড়িয়েছেন। আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী গাজীর রোষানলে পড়েছিলেন একাধিকবার। হামলাও করা হয়েছিলো তাকে। বর্তমানে নেতাকর্মীদের ভালোবাসা তার প্রতি বেড়েছে দিগুন। রুপগঞ্জ বিএনপির আগামী দিনের কান্ডারি হিসেবে নেতাকর্মীরা এখন দিপুর উপরই ভরসা রাখতে চান।