রাজনীতি

মিশন মান্নান ঠেকাও

সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সারাদেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জে ভোটের হাওয়া বইলেও সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু নারায়ণগঞ্জ-৩ সোনারগাঁ আসনে। রাজনীতি চর্চার এ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন ৭-৮ জনের অধিক প্রার্থী। অনেকে ঘোষনা দিয়ে মাঠে নামলেও আবার অনেকে নির্বাচনের আগ পযর্ন্ত অপেক্ষায় রয়েছেন।

ভোটারদের ধারণা, এ আসনে এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হবে। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকের মতে, নির্বাচনের আগে ঠেকাতে হবে ‘আজহারুল ইসলাম মান্নানকে’। যেখানে মান্নানকে ঠেকাতে একাট্রা হবে সকল মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। 

সূত্র জানায়, নির্বাচন এখনো দেরি আছে। নির্বাচনের আগে মান্নানকে রাজনৈতিকভাবে হেয় ও বাঁধাগ্রস্থ করতে সোনারগাঁয়ের কাঁচপুরে জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সম্বলিত ছবি দিয়ে আজহারুল ইসলাম মান্নানকে এমপি হিসেবে দেখতে চাই সাটানো ব্যানার ফেস্টুন ছিড়ে ফেলার অভিযোগ উঠে। এছাড়াও তার নেতাকর্মীদের দমন করতে চলছে নানা অপকৌশল। 

নেতাকর্মীরা বলছেন, সোনারগাঁ থানা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান ১৭ বছর দলের নেতাকর্মীদের মামলা হামলা কষ্টে নিজে ব্যতীত হয়েছিলেন এবং নেতাকর্মীদের দুঃখ কষ্টে কোটের বারান্দার দ্বারে দ্বারে ঘুরে নেতা কর্মীদের জামিন করেছেন। তখন আপনারা কোথায় ছিলেন? এখন দলের সুসমযয়ে আপনারা তার প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন। কিছু নেতাকর্মীদের বোকা বানিয়ে সুযোগ বুঝে ব্যবহার করছেন। প্রতিদ্বন্দ্বি হন ভালো কথা কেন এই সরল সোজা মানুষটাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে হেও প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছেন। উনি শুধু সোনারগাঁয়ের একজন নেতা না উনি হলেন সোনারগাঁয়ের সাধারণ মানুষের ভালোবাসার প্রতীক। আল্লাহ যদি চায় উনি এমপি হবেন আর আল্লাহ না চাইলে কিছুই করার নেই। কিন্তু রাতের আধারে ওনার ফেস্টুন ব্যানার ছিড়ে ফেলবেন এইটা আপনাদের কেমন রাজনীতি? ধিক্কার জানাই আপনাদের এই রাজনীতিকে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের যুগ্ম আহবায়ক রুবেল হোসাইন বলেন, কাঁচপুর ব্রিজে লাগানো আজহারুল ইসলাম মান্নান ভাইয়ের নেতাকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের ফেস্টুন গুলোকে ছিঁড়ে ফেলেছে। কিছু স্বার্থবাদী ও সুযোগ বাদী লোকেরা যে কাঁচপুর ব্রিজে ব্যানার ফেস্টুন ছিঁড়েছে তা প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে । দ্রুত সময়ের মধ্যেই এর বিস্তারিত উন্মোচন হবে এবং এর বিচার হবে সোনারগাঁয়ের মাটিতে,ইনশাআল্লাহ।

তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান বলেন, কাচপুর ব্রিজের পশ্চিম পাশ হইতে চাঁদমহল সিনেমা হল পর্যন্ত মান্নান ভাইয়ের ফেস্টুন ব্যানার গুলা ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। কে বা কারা করেছে আমরা জানি। এই নেক্কারজনক যারাই করেছে জিয়া পরিবারের সাথে গাদ্দারি করেছে। তারা বিএনপি লোক হতে পারে না। বিএনপির লোক হইলে কখনো এ ধরনের কাজ করবে না। তবে আমরা খুঁজে বের করব কারা এই কাজটি করেছে। বের করে জবাব দেওয়া হবে সে যত বড় নেতাই হোক।

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য ও কাচপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাজী সেলিম হক বলেন, শুনতে পেলাম কাঁচপুর এলাকায় মান্নান সাহেবের ফেস্টুন কেটে নিয়ে গেছে যা লজ্জা জনক। এ ধরনের অপরাধীদের উপযুক্ত শাস্তি দ্রুত নিশ্চিত করার নির্দেশ প্রদান করা হলো। কাঁচপুর ইউনিয়নে নিষিদ্ধ ও পরাজিত সংগঠন ব্যতীত সবার জন্য উন্মুক্ত। কাঁচপুর ইউনিয়ন বিএনপি জিয়া পরিবারের আদর্শ ধারণ করে রাজনীতি করে। আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতি পছন্দ করি না। আমাদের এলাকাকে ঘিরে কেউ নোংরা রাজনীতি করার চেষ্টা করবেন না অন্যথায় রাজনীতি করার উপযুক্ত থাকবেন না ইনশাআল্লাহ।

পোস্টার ব্যানার ছেঁড়ার বিষয়ে মান্নানপুত্র জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক খাইরুল ইসলাম সজিব গনমাধ্যমে বলেন, ৫ আগষ্টের পর কিছু আওয়ামী লীগের এজেন্টরা বিভিন্ন দলের নাম নিয়ে তারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করছে। তাদের টার্গেট একটাই বিএনপির নাম খারাপ করতে হবে। 

জানা যায়, আজহারুল ইসলাম মান্নান বিএনপির দু:সময়ে সোনারগাঁ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনগুলোকে একত্র করে এক ছাতার নিচে ধরে রেখেছেন। বিগত জুলাই আন্দোলন সহ পূর্ববর্তী আন্দোলন সংগ্রামে নেতাকর্মীদের নিয়ে রাজপথে নেমে পড়তেন এবং আন্দোলন-সংগ্রাম সফল করতেন। এ সকল কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে বিগত সময়ে হামলা মামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন আজহারুল ইসলাম মান্নান ও তার ছেলে জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক খাইরুল ইসলাম সজিব। বেশ একাধিকবার মামলার আসামি হয়ে জেলও খেটেছেন মান্নান। এমনকি আওয়ামী লীগের রোষানলে পড়ে বিভিন্ন সভা সমাবেশের আগে তার বাড়িতে পুলিশ সদস্যরা তল্লাশি চালায় তাকে গ্রেফতার করতে। বর্তমানে নেতাকর্মীদের ভালোবাসা তার প্রতি বেড়েছে দিগুন। সোনারগাঁ বিএনপির আগামী দিনের কান্ডারি হিসেবে নেতাকর্মীরা এখন মান্নানের উপরই ভরসা রাখতে চান। 

 

Leave a Reply

Back to top button