বৈষম্য বিরোধী হত্যা মামলার আসামীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ব্যবসায়ী ফতুল্লা থানায় অভিযোগ
বৈষম্য বিরোধী হত্যা মামলার আসামীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ব্যবসায়ী ফতুল্লা থানায় অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার (Somoysokal) নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা থানার আওতাধীন কুতুবপুর ইউনিয়নের ভূইগর পূর্ব পাড়া মাদানীনগর এলাকায় এখনো আওয়ামীলীগ দোসরদের প্রভাব বিস্তার। বৈষম্য বিরোধী হত্যা মামলার আসামীরাও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায় করেন চাঁদাবাজী, দখলবাজী এবং রমরমা মাদক ব্যবসা। এমনি একটি অভিযোগ নিয়ে ফতুল্লা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ঠিকাদার ব্যবসায়ী শেখ তােফায়েল হোসেন লিটন।
অভিযোগে উল্লেখ্য, আল-আমিন, মো. রিপন, মো. সজিব, মো. মোজাম্মেল ও আল-আমিনের স্ত্রী লাভলী আক্তার সহ আরও ৪/৫ জন মিলে একটি সিন্ডিকেট তৈরি করেছে। এই সিন্ডিকেটের সদস্যরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মানুষ’কে জিম্মি করে চাঁদা দাবি করে। তারি ধারাবাহিকতায় ঠিকাদার ব্যবসায়ী শেখ তােফায়েল হোসেন লিটনের কাছেও চাঁদা দাবি করেন। একপর্যায়ে ব্যবসায়ী লিটন তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ফতুল্লা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তোফায়েল আহমেদ লিটন বলেন, এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করিতেছি যে, উক্ত বিবাদীরা অত্র এলাকার স্থানীয় সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, অসাধু ও উশৃঙ্খেল প্রকৃতির লোকজন হয় বটে আমি ভুইগড় মাদানীনগর প্রজেক্টে ঠিকাদার ব্যবসা পরিচালনা করিয়া আসিতেছি। উক্ত বিবাদীরা আমার উক্ত ব্যবসাকে কেন্দ্র করিয়া বিভিন্ন সময় ও তারিখ বিভিন্ন অংকের টাকা চাঁদা দাবী করিয়া আসিতেছে। তাহাদের দাবীকৃত চাঁদা না দেওয়ায় আমাকে বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদান করে। এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য- ১১/১১/২০২৫ ইং তারিখ বিকাল অনুমান ০৪.৪৫ ঘটিকার সময় আমি ভূইগড় মাদানীনগর প্রকল্পের ৪নং রােড দিয়া যাতায়াতের সময় পরিকল্লিতভাবে আমার পথরােধ করিয়া আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিয়া এলোপাথারীভাবে কিলঘুষি ও লাথি মারিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা ও গুরুতর জখম করে। মারধরের একপর্যায়ে ৩ ও ৪নং বিবাদীদ্বয় আমাক ধরিয়া রাখিলে ১নং বিবাদী আমার পরিহিত পায়জামার ডান পকেটে থাকা নগদ- ২.০০,০০০/-(দুই লক্ষ) টাকা নিয়া যায় এবং ২নং বিবাদী আমার পরিহিত পায়জামার বাম পকেটে থাকা নগদ-৯০ ,০০০/-(নব্বই হাজার) টাকা নিয়া যায়। আমার ডাক-চিৎকারে আশেপাশের লোকজন আগাইয়া আসিলে বিবাদীরা আমাকে পরবর্তীতে দেখিয়া নিবে বলিয়া। হুমকি দিয়া চলিয়া যায়। অতঃপর আমি তাহাদের ভয়ে মাদানীনগর প্রজেক্টের অফিসকক্ষকে গিয়া আশ্রয় নেয়। পরবর্তীতে একই তারিখ বিকাল অনুমান ০৫.১৫ ঘটিকার সময় সকল বিবাদীগণ পুনরায় আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ছুরি, চাকু, রামদা, বঠি সহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়া বে-আইনী জনতাবদ্ধে দলবদ্ধ হইয়া অফিসে অতর্কিতভাবে হামলা করে। কিন্তু অফিস কক্ষের দরজা বন্ধ থাকায় ও সিকিউরিটি গার্ড থাকায় আমি কোনমতে বাচিয়া যাই। একপর্যায়ে অধিক পরিমানে লোকজন আগাইয়া আসিলে বিবাদীগণ উচ্চ গলায় আমাকে পরবর্তীতে যেখানে পাইবে চিরতরে হত্যা করিয়া লাশ গুম করিয়া ফেলিবে বলে হুমকি প্রদান করিয়া চলিয়া যায়। পরবর্তীতে আমাকে আশেপাশের লোকজন খানপুর ৩০০ শয্যা বিশষ্ট হাসপাতালে নিয়া চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে ভূক্তোগী অভিযোগকারী তোফায়েল আহমেদ লিটন বলেন, অভিযোগে উল্লেখ্য করা সকলে আওয়ামী লীগের দোসর সন্ত্রাসী শামীম ওসমানের অন্যতম সহযোগী যুবলীগ নেতা সাব্বির আহমেদ জুলহাসের আত্মীয়-স্বজন। আল-আমিন, মো. রিপন, মো. সজিব ও মো. মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী হত্যা মামলা রয়েছে বিভিন্ন থানায়। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকার পরেও প্রশাসন নিরব কেনো বুঝতে পারছি না। উপরের অভিযুক্তকারীরা আমার নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি মাদানিনগরে গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিদের মাধ্যমে তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তির দাবি করছি। ব্যবসায়ী লিটন আরও এই চাঁদাবাজদের সকল মামলার কাগজপত্র নিয়ে আগামীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও মিডিয়াতে ভিডিও বার্তা প্রকাশ করবো ইনশাআল্লাহ।

