অপরাধ

ভূইঘর মাদানি নগরে মূর্তিমান আতঙ্ক ভূমিদস্যু লিটন-প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে এলাকাবাসী 

ভূইঘর মাদানি নগরে মূর্তিমান আতঙ্ক ভূমিদস্যু লিটন-প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে এলাকাবাসী 

 

স্টাফ রিপোর্টার (Somoysokal) ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় জামাত-বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে কিছু লোক সমাজের মূর্তিমান আতঙ্ক হয়েছে উঠেছে। সেই মূর্তিমান আতঙ্কের একজন হলেন নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা থানার আওতাধীন কুতুবপুর ইউনিয়ন ভূইঘর মাদানি নগরের বাসিন্দা আলী হোসেনের ছেলে নামধারী বিএনপি নেতা তোফায়েল আহমেদ লিটন।

 

ভূইঘর মাদানি নগর এলাকাবাসীর সুত্রে জানা যায়, বিএনপির নামধারী নেতা তোফায়েল আহমেদ লিটন এখন সমাজে আতঙ্ক হয়ে উঠেছে। মাদানি নগরে কেউ যদি বাড়ি-ঘরের কাজ করে তাহলে তাকে চাঁদা দিয়ে কাজ করতে বলে। আবার জোর করে ইটা, বালি, রড, সিমেন্ট ও পাথর তার কাছ থেকে নিতে বাধ্য করে। যদি কেউ তার কাছ থেকে ইটা, বালি, রড, সিমেন্ট ও পাথর নিতে অস্বীকৃতি জানায় তাহলে তার কাছে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না-দিলে মারধর সহ বিভিন্ন ভাবে হুমকি-ধমকি প্রদান করে। চাঁদাবাজ তোফায়েল আহমেদ লিটন তার নিজের আপন ছোট বোনকেউ ছাড়ে নাই, তার বোন কুমকুম বেগমের কাছেও চাঁদা দাবি করে।

 

এলাকাবাসীর তথ্যের সুত্র ধরে ভূমিদস্যু তোফায়েল আহমেদ লিটনের ছোট বোন কুমকুম বেগমের ফোন নাম্বার সংগ্রহ করে তাকে ফোন দিলে তিনি বলেন, আপনি সাংবাদিক আপনার কাছে কিছু বললে পরে এসে আমার উপর হামলা করতে পারে তবুও আপনি যেহেতু জানতে চাইছেন তাই বলছি, তোফায়েল আহমেদ লিটন আমার ভাই হলে কি হবে, সে নিজের সার্থের জন্য সব করতে পারে। সে আমার কাছ থেকে টাকা নিয়েছে জমি লিখে দেওয়ার কথা বলে কিন্তু জমি রেজেষ্ট্রি করে দেন নাই। এই বিষয়ে আমি কিছু বলতে গেলেই সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে এসে আমাকে ও আমার পরিবার’কে হুমকি-ধামকি দেয়  আর আমার কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এই বিষয়ে আমি আইনের আশ্রয় নিয়ে ২০১৮ সালে তার বিরুদ্ধে একটা চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করি, এর পর আমাকে আরও বেশি হুমকি দিতে শুরু করে তাই আমি মামলাটা নিয়ে বেশি ঘাঁটাঘাঁটি করি নাই।

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভূইঘর মাদানি নগরের একজন বাসিন্দা জানায়, তোফায়েল আহমেদ লিটন তার কিছু নিকট আত্মীয়-স্বজন আছে যারা বিএনপি করে তাদের পাওয়ার খাটিয়ে এলাকায় মাস্তানি করে বেড়ায়, এলাকায় হুরুম-তারুম শুরু করে দিছে। এই স্বভাব আগেও ছিলো কিন্তু কম, ৫ আগস্টের পর থেকে নিজেকে বিএনপি নেতা দাবি করে পাওয়ার খাটাচ্ছে। আসলে ভূইঘর চৌরাবাড়ী এলাকায় তার কিছু আত্মীয় আছে যারা বিএনপি করে। কিন্তু তার আত্মীয়রা এখানে কাউকে কিছু বলে না এমনকি স্থানীয় বিএনপি নেতারাও কাউকে কিছু বলে না তবে লিটন অতিরিক্ত করে যাচ্ছে । তাই আমরা এলাকাবাসী সিদ্ধান্ত নিয়েছি আইনের আশ্রয় নিবো, চাঁদাবাজ লিটনের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী ও র‍্যাবের কাছে অভিযোগ জানাবো। তাছাড়া প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি ভূইঘর মাদানি নগর এলাকাবাসী যেনো এই মূর্তিমান আতঙ্কের হাত থেকে রক্ষা পায়।

এই নিউজের পরবর্তী ধাপ আসবে আমাদের সাথেই থাকুন

Back to top button