অপরাধ

নামধারী যুবলীগ নেতা কবিরের বিরুদ্ধে গরুর হাটের টাকা মেরে দেওয়ার অভিযোগ, ক্ষিপ্ত এলাকাবাসী

নামধারী যুবলীগ নেতা কবিরের বিরুদ্ধে গরুর হাটের টাকা মেরে দেওয়ার অভিযোগ, ক্ষিপ্ত এলাকাবাসী

স্টাফ রিপোর্টার (Somoysokal) নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়ন ভূইঘর সোনালী সংসদ ক্লাব এলাকায় নামধারী যুবলীগ নেতা হুমায়ুন কবির হোসেনের বিরুদ্ধে গরুর হাটের টাকা মেরে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

সুত্রে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনু’র নাম ভাঙ্গিয়ে একট গরুর হাট আনেন কবির হোসেন, এই হাটের অংশিধার হিসাবে টাকা বিনিয়োগ করেন এলাকাবাসীর অনেকেই। গরুর হাটে ব্যবসা হয়েছে ২০ লাখ কাটার মতো। অন্যান্য অংশিধার’কে লস  হয়েছে বলে এই সব টাকাই মেরে দিয়েছে কবির হোসেন। অংশিধার’রা হিসাব চাইলে খাতা-কলমে কোনো সিহাব দেখাতে নারাজ কবির হোসেন, মৌখিক হিসাব দিখিয়ে বলে গরুর হাটে লস হয়েছে।

কবির হোসেনের সাথে গরুর হাটে জরিত থাকা কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মানিক চাঁন এর কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কবির হোসেন তো এখন আমার সাথেই দেখা করছে না, ফোন দিলে নানান তালবাহানা করে। এমনিতেই এলাকাবাসী কবিরের উপর ক্ষিপ্ত, আমরা চেষ্টা করছি এর একটা ব্যবস্থা নেওয়ার দেখি কি করা যায়।

দুই লাখ টাকা দিয়ে কবিরের সাথে হাটে শেয়ার থাকা মো. পলাশ জানান, আমরা টাকা দিয়ে হাটের জন্য পরিশ্রম করেছি, এখন কবির তো হাটের হিসাবও দেয়না কোনো খোজখবরও নাই লাভের টাকা মেরে দিসে। আমরা প্রথমে এলাকার মুরুব্বিদের জানাবো যদি এতেও সমাধান না হয় তাহলে অন্য ব্যবস্থা দিবো।

পলাশের মতো ঐলাকার আক্কাস কাজী-১০ লাখ টাকা, জাফর-২ লাখ, রয়েল কাজী-২ লাখ টাকা ও  সাদ্দামও-২ টাকা দিয়েছেন। কবির হোসেনে কারো সাথেই হাটের হিসাব দেয়নি। তাছাড়া আরও অনেকেই আছেন ছাড়া কবির হোসেনের ভয়ে মুখ খুলতে পারছেনা। কারণ কবির হোসেনে সাজনু-হেলাল নেতার নাম ভাঙ্গিয়ে চলে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঐ এলাকার একজন মুরুব্বি জানান, কবির হোসেনে একসময় বিএনপি করতো, বিএনপির কঠোর বক্ত ছিলো তারপর সে বিদেশ চলে যায়। বিদেশ থেকে এসে দেখেন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় তখন সে আওয়ামী লীগের সাপোর্টার হয়ে গেছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের ওর কোনো পাদ পদবী নাই।

এবিষয়ে জানতে কবির হোসেনের এই ০১৭১৫৩৩৮৫২৯ নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলেও ফোন রিসিভ করেনি। পরবর্তীতে ফোন বন্ধ করে রাখেন।

Back to top button