নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে এক কিশোরী অপহৃত হওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে ঢাকার সাভার এলাকা হতে উদ্ধার করেছে র্যাব-১১। সিদ্ধিরগঞ্জের রসুলবাগ উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থেকে গত ৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টায় অপহৃত হওয়ার পর কিশোরীর বাবা লিখিত অভিযোগ দিলে পরদিন ৯ ফেব্রুয়ারি রাতে তাকে উদ্ধার করা হয়। রসুলবাগ আদম আলীর বাড়ীর সামনে থেকে অপহরণকারী চক্রের দুই সদস্য মো: সাগর হোসেন (১৯) ও মো: ফয়সাল (১৯)’কে গ্রেপ্তারের পর তাদের তথ্যের ভিত্তিতে মো: নূরনবী রনি (২২) ও ভুয়া কাজী মো: আল-মামুন (৩৭)’কে ঢাকার সাভার এলাকা হতে গ্রেপ্তার করা হয়।
শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে র্যাব-১১’র মিডিয়া অফিসার এএসপি মো: রিজওয়ান সাঈদ জিকুর পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব আরো জানায়, মো: সাগর হােসেন ও মো: ফয়সালের সহযাগীতায় আসামি নুরনবী ভিকটিমকে অপহরণ করে আসামী মো: আল-মামুনের মাধ্যমে কাবিননামা ও বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। এছাড়া তারা কিশোরীকে ফুসলিয়ে, ভুল বুঝিয়ে এবং প্রলোভন দেখিয়ে সাভার নিয়ে আসে। নূরনবী রনি তার দুই বন্ধুর সহায়তায় আল-মামুন নামীয় কাজীর অফিসে গিয়ে তাকে (ভিকটিম) একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর করতে বললে সে (ভিকটিম) উক্ত কাগজে স্বাক্ষর করে। তখন ভিকটিমকে কাজী বলে ‘তুমি ধর্মান্তরিত হয়ে গেছ এবং তােমার বর্তমান নাম ফাতেমা। নূরনবী ও তুমি বর্তমানে স্বামী-স্ত্রী।’
বিবাহের কাগজপত্র উদ্ধারের নিমিত্তে র্যাব সদস্যরা কথিত কাজী আসামী আল-মামুনের অফিসে অভিযান পরিচালনা করে। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে কাজী স্বীকার করে, সে প্রতারণার উদ্দেশ্যে ‘কাজী’র ছদ্মবেশ ধারন করে বিভিন্ন অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলে-মেয়েদের জন্মসনদ এডিটিং করে বয়স বাড়িয়ে ভূয়া বিবাহ পড়িয়ে অর্থ আত্মসাৎ করে। এরই ধারাবাহিকতায় এফিডেভিট মূলে ধর্মান্তরকরনের মিথ্যা নাটক সাজিয়ে ভূয়া জন্ম নিবন্ধনের কাগজ প্রস্তুত করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করিয়ে আসামী নূরনবী রনি কর্তৃক ভিকটিমকে ধর্ষনে সহায়তা করে।