রাজনীতি

কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা দিশেহারা

 

স্টাফ রিপোর্টার (Somoysokal) নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রাসেল মোল্লা তার ফেসবুক আইডিতে স্টাটাস দেন কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা দিশেহারা। বছরের পর বছর নেই কোন কমিটি। আছে শুধু আশ্বাস, দিয়ে যাও আদম সাপ্লাই আর দুধ কলা দিয়ে কমিটি ভারী করছি বি,এন,পির। এমন স্টাটাস দেওয়াতে তাকে ফেসবুকে সাদুবাদ জানিয়েছেন অনেকে। আবার অনেকে ফোন করেও বলেছেন তুমি সঠিক কথা তুলে ধরেছো।

মঙ্গলবার (২২ মার্চ) দুপুর ৩ টার দিকে রাসেল মোল্লা তার ফেসবুক আইডিতে এ স্টাটাস দেন। স্টাটাস দেওয়া মাত্রই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।

এ স্টাটাস দেওয়ার বিষয়ে কুতুবপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রাসেল মোল্লা’র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার ব্যক্তি স্বাধীনতা আছে তাই আমি আমার মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য এ স্টাটাস দেই।

ছাত্রলীগ নেতার স্টাটাস এর বিষয়ে কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জসিমউদদীন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা কমিটি করার উদ্যোগ নিয়েছিলাম এর মাঝ খানে চলে এসেছে করোনা। পরে থানা কমিটিটা হলেও ওয়ার্ড কমিটিটা করা সম্ভব হয়নি। তবে আমি আগামী শনিবার একটা মিটিং করবো তখন একটা সিদ্ধান্ত নিবো। আর আমারা কেউ দিশেহারা নয়, দিশেহারা হলো তারা যারা অবৈধ টাকা কামাচ্ছে তারা।

একই বিষয়ে কথা কুতুবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. খালেক মুন্সির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ছাত্রলীগ নেতা রাসেল মোল্লা’র সাথে একমত। এখন যারা মাদক ও সন্ত্রাসী করে তারা ভালো আছে। প্রকৃতি আওয়ামীলীগরা কোনঠাসায় আছে। আমার আর কোনো কিছু বলার নাই। আমি শামীম ওসমানের কর্মী সুযোগ পেলে শামীম ওসমানকে বলবো সব কথা আর কাউকে ধার ধারি না।

একই বিষয়ে কুতুবপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মো. শাহ আলম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার কিছু বলার নাই এটা বড় বড় নেতারা বললে। আমি ১৮ বছর যাবত একটি কলেজে শিক্ষককতা করি মাস্টার্স কমপ্লিট কছি ২০০১ সালে। এখনো আমাকে ছাত্রলীগ পরিচয় দিতে হয়। তাহলে কমিটির কথা আর কি বলবো।

একই বিষয়ে কুতুবপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ছাত্রলীগ নেতা রাসেল মোল্লা’র সাথে একমত। সে সত্য কথা বলেছে, অনেক ত্যাগী নেতাদের মনের কথা বলেছে।

 

Back to top button