Uncategorized

নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি আসনে ৩৮ মনোনয়ন বৈধ, বাতিল ৭

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছেে।এবার ৫টি আসনে মোট ৩৮ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা ও একইসঙ্গে নানা অসঙ্গতির কারণে মোট ৭ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মনোনয়ন বাছাই শেষে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হক এ তথ্য জানান।

নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে মোট ১০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে ৯ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।তারা হলেন, গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতিক)- (আওয়ামী লীগ), তৈমুর আলম খন্দকার- (তৃণমূল বিএনপি), শাহাজাহান ভুইয়া- (স্বতন্ত্র), গাজী গোলাম মর্তুজা- (স্বতন্ত্র), মো. হাবিবুর রহমান- (স্বতন্ত্র), মো. জোবায়ের আলম- (স্বতন্ত্র), মো. সাইফুল ইসলাম- ( জাতীয় পার্টির), মো. জয়নাল আবেদীন চৌধুরী- (স্বতন্ত্র) ও একেএম শহিদুল ইসলাম- (ইসলামি ফ্রন্ট বাংলাদেশ)।

এছাড়া জামানত জমা না দেয়ার কার‌নে বাতিল হয়েছে আফাজউদ্দিন মোল্লা- (বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টি)র মনোনয়ন।

নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে মোট ৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে ৪ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। তারা হলেন, নজরুল ইসলাম বাবু- (আওয়ামী লীগ), মো. আবু হানিফ হৃদয়- (তৃণমূল বিএনপি), শাহজাহান- (জাকের পার্টি) ও আলমগীর সিকদার লোটন- (জাতীয় পার্টি)।

ঋণ খেলাপির কারণে মো. শরিফুল ইসলাম- (স্বতন্ত্র) মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। এবং ফর্ম স‌ঠিক ভা‌বে পুরন না করায় মামুন দিদার- (স্বতন্ত্র) প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে মোট ১৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে ১১ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। তারা হলেন, আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত (আওয়ামী লীগ), লিয়াকত হোসেন খোকা (জাতীয় পার্টি), মারুফ ইসলাম ঝলক (স্বতন্ত্র), এরফান হোসেন দীপ (স্বতন্ত্র), নারায়ণ দাস (বিকল্প ধারা বাংলাদেশ), মজিবুর রহমান (বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন), আসলাম হোসেন (বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি), রুবিয়া সুলতানা (স্বতন্ত্র), এবিএস ওয়ালিউর রহমান খান (বিএনএম), এ.এইচ.এম মাসুদ (স্বতন্ত্র) ও মো. আরিফ (মুক্তি জোট)।

ঋণখেলাপির জামিনদাতা হওয়ায় ব্যাংকের অভিযোগ থাকায় মো. জামিল মিজি (জাকের পার্টি) ও সিরাজুল হকের (কংগ্রেস) মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে মোট ১১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে ৯ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। তারা হলেন, শামীম ওসমান (আওয়ামী লীগ), সৈয়দ হোসেন (সমাজতান্ত্রিক দল- জাসদ), আলী হোসেন (তৃণমূল বিএনপি), মুরাদ হোসেন জামাল (জাকের পার্টি), ছালাউদ্দিন খোকা (জাতীয় পার্টি), সেলিম আহ‌মেদ (বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি), হাবিবুর রহমান (ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ), শহীদ-উন নবী (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি), গোলাম মোর্শেদ রনি (বাংলাদেশ কংগ্রেস)।

একাধিক অনিয়ম ও জালিয়াতির দায়ে রাশেদুল ইসলাম ও কাজী দেলোয়ার হোসেনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।

এদিকে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সকল প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা করা হয়েছে। তারা হলেন- একেএম সেলিম ওসমান (জাতীয় পার্টি), মো. আব্দুল হামিদ ভাসানী (তৃণমূল বিএনপি), এ এস এম একরামুল হক (ইসলামি ফ্রন্ট বাংলাদেশ), মোর্শেদ হাসান (জাকের পার্টি) ও ছামসুল ইসলাম (বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি)।

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে গত ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনে ৪৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। তার মধ্যে ১২ জন স্বতন্ত্র ও ১৩ টি দলের ৩৩দলের প্রার্থী রয়েছেন। এর মধ্যে, আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ৪জন, জাতীয় পার্টির ৫জন, তৃণমূল বিএনপির ৪জন, জাকের পার্টির ৫জন, ইসলামি ফ্রন্ট বাংলাদেশের ৩জন, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির ৪জন, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের ১জন, বিএনএম এর ১জন, বিকল্প ধারার বাংলাদেশের ১জন, মুক্তিজোটের ১জন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ২জন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ১জন, সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের ১জন ছিলেন।

Back to top button