স্টাফ রিপোর্টার (Somoysokal) নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চার চারবারের নির্বাচিত সফল চেয়ারম্যান মো. মনিরুল আলম সেন্টু’র বিরুদ্ধে একটি কুচক্রী মহল গভীরভাবে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার একটি মামলায় সেন্টু চেয়ারম্যান’কে জড়ানো হয়েছে।
মনিরুল আলম সেন্টু ২০০২ সাল থেকে এখন পযন্ত কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছে। ২০২১ সালে সর্বশেষ নির্বাচনে তৎকালীন এমপি শামীম ওসমানের নির্দেশে আওয়ামী লীগের নেতারা তাকে জোরপূর্বকভাবে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে বাধ্য করে। পরবর্তীতে তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করলেও আওয়ামী লীগে যোগদান করেন নি তবে সেন্টুর পক্ষে নৌকার মনোনয়ন আনার বিষয়টি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করেছেন শামীম ওসমান। সেন্টু চেয়ারম্যান কিন্তু কোনো প্রকার আওয়ামী লীগের সদস্য পদ না নিয়েও নৌকার মনোনয়ন পেয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। নৌকার মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচন করার পর থেকে একটি কুচক্রী মহল তার পেছনে উঠেপড়ে লেগেছে। নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার পরেও কোনো দিন কোনো মিছিল মিটিংয়ে জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু না বলার কারণে তৎকালীন এমপি শামীম ওসমানের কাছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা অনেক বিচার নালিশ দিয়েছেন।
গত ১৯ তারিখে ছাত্র আন্দোলনের মুখে যখন সারা দেশ উত্তাল হয়ে উঠে ঠিক ঐ মুহূর্তে কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী জসিম উদ্দিন সেন্টু চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলনে সাথে সম্পৃক্ততা আছে বলে অভিযোগ তুলেন। পরবর্তীতে ৫ই আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী সরকারের পতন হলে তিনি প্রকাশে ছাত্রদের পাশে গিয়ে দাড়ান। আন্দোলনে গিয়ে নিহত ও আহত ছাত্র-জনতার খোঁজ খবর নেন, নিহতের পরিবারকে সমবেদনা জানান এবং আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। তাছাড়া পুলিশ কর্ম বিরতিতে যাওয়ার পরে যেসকল শিক্ষার্থীরা রাস্তায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, বিভিন্ন দেয়ালে আলপনা আটের কাজ করেন তাদের খাবারের ব্যবস্থা করেন এবং আট করার জন্য রং কিনে দেন।
যেসময়টাতে সেন্টু চেয়ারম্যান ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহত-নিহতদের নিয়ে ব্যস্ততা নিয়েও কুতুবপুর তথা ফতুল্লার বিভিন্ন এলাকার লুটপাট ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে কাজ করছেন ঠিক ঐ মুহূর্তে একটি কুচক্রী মহল তার বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
সেন্টু চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে কুতুবপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন সামাজিক ব্যক্তি বর্গ ও সুশীল সমাজ বলছে মামলায় সেন্টু চেয়ারম্যানের নাম জড়ানো ঠিক হয়নি তিনি কোনো অপরাধের সাথে জড়িত ছিলো না তাকে রাজনৈতিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এবং জনগণের কাছ থেকে দূরে রাখার জন্য ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে জড়ানো হয়েছে।