শামীম ওসমান ছেলে ভাতিজাকে নিয়ে ছাত্রদের গুলি করেছিলো: গিয়াসউদ্দিন
আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ শামীম ওসমানকে উল্লেখ করে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেছেন, এ নারায়ণগঞ্জে স্বৈরাচারের একজন বড় দোসর ছিলো। গডফাদার হিসেবে খ্যাত দেশে ও বিদেশে। সেদিন তিনি তার সন্ত্রাস বাহিনী, তার ছেলে ও তার ভাতিজাকে নিয়ে অস্ত্র হাতে ছাত্রদের উপর গুলি করেছিলো। সব ভিডিও আমাদের কাছে আছে। এদেরকে কোনো অবস্থায় ছাড়া যাবে না। আমরা নিজেরা আইন তুলে নিবো না, আমরা তাদেরকে আইনের হাতে সোপর্দ করবো।
বুধবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জে আয়োজিত নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির এক অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এইসব কথা বলেন।
জানা গেছে, কেন্দ্রীয় নির্দেশ অনুযায়ী, ছাত্র-জনতার উপর গুলি চালিয়ে গণহত্যাকারী খুনি হাসিনাসহ তার দোসরদের বিচারের দাবিতে দিন ব্যাপি অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জে ছিলো এই দেশের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্ত্রাসী এবং তার সন্ত্রাসী বাহিনী। এমন কোন অপকর্ম নাই যেটা তারা করেনি। আয়নাঘর থেকে শুরু করে পুলিশ র্যব, সব কিছু তাদের দখলে ছিলো। আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দিতো, এলাকা থেকে যাতে আমরা চলে যেতে বাধ্য হই সেই ব্যবস্থা করতো। এমনকি টাকার জরন্য তারা মাদকের ব্যবসা সম্প্রসারিত করে সেখান থেকে টাকা নিয়েছে। আবার মুখে অনেক ভালো ভালো কথা বলেছে। আমরা আইন হাতে নিবো না, আবার কাউকে রেহাইও করবো না। আমরা আইনের মাধ্যমে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করবো। আজ তারা কোথায়? পালিয়েছে। তাদের নেত্রী যেমন পালিয়েছে, তারাও পালিয়েছে। বোরকা পরিহিত অবস্থায় তারা পালিয়েছে।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি’র সভাপতি মাজেদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি এড. মাহফুজুর রহমান হুমায়ূন, সাধারণ সম্পাদক বাছির উদ্দিন বাচ্চু, ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু, সাধারণ সম্পাদক এড. বারী ভুইয়া, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি, জেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক গোলাম কায়সার রিফাত, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নাহিদ ভূঁইয়াসহ জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।