সারাদেশ

ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাইতে দিনার বাসায় টিপু

নিজের ভুল স্বীকার করে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৭,৮,ও ৯নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ও নারায়ণগঞ্জ মহিলা দলের সাধারন সম্পাদক আয়শা আক্তার দিনার কাছে ক্ষমা চাইলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খাঁন টিপু।

গত দুদিন আগে সিদ্বিরগঞ্জস্থ দিনার বাসায় তাকে হাত ধরে ক্ষমা চান টিপু। সাথে ছিলেন দৈনিক অগ্রবানী পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক স্বপন চৌধূরি।

এদিকে গত কয়েকদিন ধরে ফেসবুকে ও গনমাধ্যমে বাকযুদ্ধে ছিলেন বিএনপির এ দুই নেতা নেত্রী। একে অপরে তুলেছেন বিভিন্ন অভিযোগ। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরগরম ছিলো। শেষ মেষ টিকতে না পেরে টিপু গিয়ে হাজির হন দিনার বাসায়। এসময দিনার পরিবারের সামনে হাত ধরে কান্নাকাটি করে ক্ষমা চান টিপু।

এ বিষয়ে কাউন্সিলর দিনা তার ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে বলেন, “আমাকে গতকাল (শনিবার)  মহানগর বিএনপির কালো পতাকা মিছিলে দেখে অনেকেই অবাক হয়েছেন। কারণ নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আৰু আল ইউসুফ খান টিপু ভাইকে নিয়ে এত সমালোচনার পর আমি আবার ঐ পোগ্রামে কেন গেলাম? বিষয়টা সবার কাছে ক্লিয়ার করা দরকার।’

তিনি বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার রাতে টিপু ভাই অগ্রবানী পত্রিকার সম্পাদক স্বপন চৌধুরী ভাইকে নিয়ে স্বেচ্ছায় আমার বাসায় আসেন এবং আমার হাসবেন্ড এর সামনে তার চলার পথের বিভিন্ন কাজের ভুলের জন্য অনুতপ্ত হন এবং কান্নাকাটি করেন। যার স্বাক্ষী স্বপন চৌধুরী ভাই। আমি তো মানুষ। আমার জিদ যেমন আছে মায়াও আছে। তার অনুতপ্ত হওয়ার পর কান্নাকাটি করার পর আমি আমার সমস্ত রাগ ভুলে যাই। এরপর তিনি আমাকে মহানগরের কালো পতাকা মিছিলে আসতে রিকোয়েস্ট করে। এতে স্বপন চৌধুরী ভাই ও আমার হাসবেন্ড আমাকে যাওয়ার জন্য বলে। তারা আমাকে বোঝান যেখানে টিপু ভাই নিজে এসে আমার বাড়ীতে অনুতপ্ত প্রকাশ করেন সেখানে আর মনে কোন ক্ষোভ রাখা উচিত না। এজন্যই আমি গতকাল কালো পতাকা মিছিলে আমার মহিলাদল নিয়ে উপস্থিত হই। এই বিষয়টা নিয়ে অনেকেই স্ট্যান্টবাজী করার চেষ্টা করছেন। ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা করছেন। তাই বিষয়টা ক্লিয়ার করলাম সবার কাছে।’

দিনা বলেন, ‘আমি কোন ভাইকে তেল মেখে রাজনীতি করার প্রয়োজন মনে করিনা। কারণ আমি কোন ভাই এর রাজনীতি করিনা। আমার নেতা জনাব তারেক রহমান। নারায়ণগঞ্জে আমি ৪ আসনের সাবেক এমপি গিয়াস ভাই ও ৫ আসনের সাবেক আব্দুল্লাহ এমপি কালাম ভাইকে শ্রদ্ধা করি ও তাদের মানি। সুতরাং এখানে কোন নাটকের সুযোগ নাই। আমার দিক থেকে আমি বিষয়টি ক্লিয়ার করলাম। সকলেই ভালো থাকবেন। আমি চেষ্টা করব দলের এই মুহুর্তে সবাই যেনো একতাবদ্ধ থাকতে পারি। সকল ভেদাভেদ ভুলে গণতন্ত্রকে পুনদ্ধারে যেনো এগিয়ে যেতে পারি।’

এর আগে গত ২২ আগস্ট আয়শা আক্তার দিনা তার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে স্ট্যাটাসের এক অংশে লিখেন, বানরের গলায় যেমন মুক্তার মালা শোভা পায়না তেমনিই ধান্দাবাজ টিপুকে নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সদস্য সচিব পদ শোভা পায় না। কেন্দ্রের কাছে এবং নারায়ণগঞ্জের প্রথম সারির নেতাদের কাছে আমার অনুরোধ এই রাক্ষসের হাত থেকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি কে অবমুক্ত করা হউক।

তার আগে গত ২১ আগস্ট লিখেন, বিদিশা ভাইরাস থেকে আওয়ামী এজেন্ট থেকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপিকে অবমুক্ত করা এখন সময়ের দাবী। টিপু নিজের স্বার্থে কাউকে পা ধরতেও দেরি করে না আল্লাহ রাসুল এক করতে ও দেরি করে না। আবার স্বার্থ পূর্ণ হয়ে গেলে কারো মিথ্যা বানোয়াট ভাবে চরিত্র হনন করতেও দেরি না। আর এভাবেই একের পর এক টিপুকে উদ্দেশ্য করে তীর্যক মন্তব্য করে আসছিলেন আয়শা আক্তার দিনা।

Back to top button