ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার চায় সাদরিল

বুধবার নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে বাস মালিক সমিতির সাথে আয়োজিত সভায় বাস ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ নিন্দা এবং অবিলম্বে ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ন সম্পাদক, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি’র সহ সভাপতি, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর ও নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনের এমপি প্রার্থী গোলাম মুহাম্মদ সাদরিল।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের গোলাম মুহাম্মদ সাদরিল বলেন, আমরা দেখছি, প্রতিদিন শ্রমজীবী মানুষ, শিক্ষার্থী, নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবার যাতায়াতের জন্য এই ভাড়া বহন করতে গিয়ে অতিরিক্ত আর্থিক চাপে পড়ছেন। অথচ পরিবহন মালিক ও সিন্ডিকেট গোষ্ঠী মুনাফা লুটে নিচ্ছে সাধারণ মানুষের ঘাম ঝরানো টাকা থেকে। এভাবে বিনা কারণে ভাড়া বৃদ্ধি জনগণকে শোষণের শৃঙ্খলে আবদ্ধ করার নামান্তর। আমরা এ সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানাই এবং অবিলম্বে এই অযৌক্তিক ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। জনগণের কষ্টের তোয়াক্কা না করে হঠাৎ করেই ঢাকা -নারায়নগঞ্জ রুটে বাস ভাড়া ৫ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। কোনো সরকারিভাবে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি হয়নি, কোনো নীতিগত পরিবর্তন হয়নি, তবুও পরিবহন মালিকপক্ষ একতরফাভাবে ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে। এটি জনগণের সঙ্গে স্পষ্ট অবিচার এবং সাধারণ মানুষের রক্তচোষা নীতিরই বহিঃপ্রকাশ।
সাদরিল বলেন, জ্বালানি মূল্য স্থিতিশীল থাকা সত্ত্বেও, বাস ভাড়া অযথা বৃদ্ধি করায় নিম্ন ও মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠীর দৈনন্দিন জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হবে। বিশেষ করে ছাত্র-ছাত্রীরা ও নিম্ন-আয়ের মানুষজনের ওপর দুর্দান্ত অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি হবে, যেহেতু তারা পড়াশোনা ও কর্মস্থল পর্যন্ত পৌঁছাতে প্রতিনিয়ত এই পরিসরে ভ্রমণ করেন। অবিলম্বে বাস ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল করা হোক। ভাড়া নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় যাত্রীদের অংশগ্রহণ ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হোক এবং গণপরিবহনে ভাড়া নির্ধারণে অর্থনৈতিক ক্ষমতা, সামাজিক প্রভাব ও পরিবহণ খাতের স্ট্যান্ডার্ড বিবেচনায় নেয়া হোক। আমি আশা করি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত এই সংক্রান্ত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এবং বাস ভাড়ার বর্তমান ন্যায্য ও যুক্তিসংগত সীমা পুনরায় অনুসন্ধান ও প্রণয়ন করবে।