কোন মাদক সন্ত্রাসী নারায়ণগঞ্জে থাকতে পারবে না : অ্যাড. জুয়েল
‘মাদক, সন্ত্রাস মুক্ত সমাজ গড়ার’ আহ্বান জানিয়ে শামীম ওসমানের ডাকা সমাবেশে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উপস্থিত না হওয়ায় হতভম্ব হয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল।
তিনি বলেন, আজকে এতো বড় আয়োজন; প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর স্থান খালি। এ আয়োজনটা করার ছিলো প্রশাসনের। কিন্তু আয়োজনটা করেছে গনমানুষের নেতা শামীম ওসমান সাহেব। এ আয়োজনটা আজকে কাজে লাগাতে পারে নাই প্রশাসন। আমরা নিরাপত্তা চাই। মাননীয় সাংসদকে বলতে চাই আপনি এগিয়ে যান আমরা পাশে আছি। নারায়ণগঞ্জের মানুষ আপনার পাশে আছে।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) ইসদাইর ওসমানী স্টেডিয়ামে দুপুরে অরাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন ‘প্রত্যাশা’র মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই।
আইনজীবী এ নেতা বলেন, অনেকে আমাদের মাদকের মামলা নিতে না করেছেন। আমি বলতে চাই, আমি কখনো করিনি; আজকের পর থেকে মাদকের মামলা আর করবো না। আমার আইনজীবীরাও করবে না। একজন নিরপরাধ ব্যাক্তিকে মাদক দিয়ে চালান করা হলে আমরা কার কাছে বিচার চাইবো। নিরপরাধ লোক জেল খাটবে। সে জানবেও না তার অপরাধ কী। আমরা একসাথে রুখতে পারলে নারায়ণগঞ্জ আরও সুন্দর হত। কোন মাদক সন্ত্রাসী নারায়ণগঞ্জে থাকতে পারবে না ইনশাল্লাহ।
মত বিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সভাপতি চন্দন শীল, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ বাদল (ভিপি বাদল), মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, বিকেএমইএ-এর নির্বাহী সভাপতি ও বিশিষ্ট শিল্পপতি মোহাম্মদ হাতেম, ইয়ান মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি লিটন সাহা, জেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি প্রবীর কুমার সাহা, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. হাসান ফেরদৌস জুয়েল, নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সভাপতি তানভীর আহম্মেদ টিটু, নারায়ণগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুস সালাম, নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাব সভাপতি আরিফ আলম দিপু, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জীবন সহ বিভিন্ন শিক্ষক, আইনজীবী, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, জনপ্রতিনিধি ও রাজনীতিবিদবৃন্দ।
