সারাদেশ

ইউপি চেয়ারম্যানকে ‘পেটানো’ রূপগঞ্জের সেই এসআই প্রত‌্যাহার

রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুল হক ভূঁইয়াকে চর-থাপ্পর ও লাঠিপেটা করা সেই এসআই বারেককে প্রত‌্যাহার ক‌রা হ‌য়ে‌ছে। 

শনিবার (১৬ মার্চ)  বিষয়‌টি নি‌শ্চিত ক‌রে‌ন জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাইলাউ মারমা৷

জানা যায়, শুক্রবার বিকেলে ভুলতা ইউপির তিনবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান আরিফুল হক ভূঁইয়াকে লাঠি ও বাঁশ হাতে ঘিরে ধরে রেখেছেন স্থানীয় হকাররা৷ সেখানে লাঠি হাতে পোশাক পরা কয়েকজন পুলিশ সদস্যও উপস্থিত রয়েছেন৷ এক পর্যায়ে কয়েকজন হকার চেয়ারম্যানকে পেটাতে থাকেন৷ পুলিশও সেখানে চেয়ারম্যানকে ধাক্কা দিয়ে কিল-ঘুষি মারেন এবং হাতে থাকা লাঠি দিয়ে বেশ কয়েকবার আঘাত করেন৷

প‌রে এনি‌য়ে গণমাধ‌্যমে সংবাদ প্রকা‌শিত হওয়ার পর তা‌ৎক্ষ‌ণিক বদ‌লির নি‌র্দেশ দেয় জেলা পু‌লিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল। এরপরই শনিবার তা‌কে থানা থেকে প্রত‌্যাহার ক‌রে পু‌লিশ লাইন‌সে সংযুক্ত করা হয়।

মারধরের শিকার আরিফুল হক ভূঁইয়া বলেন, গতকাল (শুক্রবার) আমি মহাসড়ক দিয়ে হেঁটে যাবার সময় হকারদের দেখতে পাই৷ তখন এক আখের রস বিক্রেতাকে সড়ক ছেড়ে তার ভ্যানগাড়িটি অন্যপাশে নিয়ে যেতে বলি৷ এতেই অন্যান্য হকাররাও খেপে যায়৷ ভুলতা ফাঁড়ির এসআই বারেক ও উত্তমসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য সেখানে উপস্থিত হয়ে হকারদের পক্ষ নিয়ে আমাকে মারধর করতে থাকে৷ শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার পাশাপাশি তারা অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে৷

ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, চেয়ারম্যান ও তার লোকজন এক আখের রস বিক্রেতাকে মারধর করলে হকারদের সাথে তাদের হাতাহাতি হয়৷ পুলিশ সেখানে গেলে চেয়ারম্যানের লোকজনও চড়াও হয়৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে দুইপক্ষকেই লাঠিচার্জ করে সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়৷ তবে, হকারদের কাছে থেকে চাঁদা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন এ পুলিশ কর্মকর্তা৷

Back to top button