সারাদেশ

আর্ন্তজাতিক ম্যাচের অপেক্ষায় ফতুল্লা স্টেডিয়াম

ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সড়কের বাম পাশে অবস্থিত ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়াম। এটির দর্শক ধারণ ক্ষমতা ২৫,০০০। বাংলাদেশের এই মাঠে ২০০৪ সালে অনুষ্ঠিত আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ হয়েছে। ঐ বিশ্বকাপের উদ্দেশ্যেই সংস্কার করা হয়েছিল এই মাঠটি। এরপর বাংলাদেশ বনাম অস্ট্রেলিয়ার খেলার মধ্য দিয়ে ২০০৬ সালে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ গড়ায় এখানে। মাঝে এই মাঠে খেলে গেছে বাংলাদেশের সাথে নিউজিল্যান্ড ও ভারত। সর্বশেষ ২০১৫ সালে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট ম্যাচের পর আর কোন আন্তর্জাতিক ম্যাচ এই মাঠে হয়নি।

বর্তমানে নিয়মিত আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত না হওয়ায় মাঠটির অবস্থা খারাপ।লিংক রোড ও স্টেডিয়ামের মাঝে পানি নিষ্কাশনের খাল ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। অবহেলায় পড়ে থাকতে থাকতে এখন মাঠটি পুরোপুরি আন্তর্জাতিক ম্যাচের অনুপযোগী হয়ে যায়। অবশেষে মাঠটি উঁচু করে খেলার উপযোগী করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ইতোমধ্যেই ঘষামাঝা শুরু করেছে সংস্থাটি।সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছর বল গড়াবে এ মাঠে।

জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালের চাচা ও বিসিবি পরিচালক আকরাম খান বলেছেন, এখানে মাঠটা অনেক উচু করতে হবে। কারণ বাইরে বৃষ্টির সিস্টেমটা অনেক খারাপ। আমরা যতটুকু পারি এখানে মাঠটাকে ঠিক করে খেলার উপযোগী করবো। আমরা এটা এই মৌসমে পারবো না, আগামী মৌসমে এটাকে আর্ন্তজাতিক স্টেডিয়াম করে নিতে পারবো। মাঠের কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। আমাদের শেষ করতে বছরখানেক লাগবে। আর্ন্তজাতিক খেলার ব্যবস্থা করে দিবো আমরা ইনশাল্লাহ।

বিসিবির পরিচালক তানভীর আহমেদ টিটু জানান, বুয়েটের নির্দেশনা অনুযায়ী ৬ ফিট ও ৪ ফিট উঁচু করা হবে খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়াম। থার্ড ডিভিশন, ফার্স্ট ডিভিশন ও প্রিমিয়ার লীগ খেলা পরিচালনা হবে। আপতত এ খেলা গুলো পরিচালনা করার জন্য মাঠটিকে খেলার উপযোগী করে তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর্ন্তজাতিক ভ্যানু ফিরিয়ে আনার জন্য এ মাঠে ব্যাপক সংস্কার দরকার। সংস্কার এনএসসিই করবে। সেটা কবে হবে, এটা এনএসসিই বলতে পারবে।

 

Back to top button