সারাদেশ

১ বছরে নাসিম ওসমান সেতুতে ৪ মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু

জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে গেলো বছরের ১০ অক্টোবর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেয়া হয় নারায়ণগঞ্জ বন্দর-সদরের বহুল প্রতিক্ষিত বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিম ওসমান ৩য় শীতলক্ষ্যা সেতু। কিন্তু উদ্বোধনের পর থেকেই ৬ লেনের সেতুটিকে প্রতিযোগিতা খেলার মাধ্যম হিসেবে গড়ে তুলে উঠতি বয়সের তরুনরা। বিকৃত এই প্রতিযোগিতাই কাল হয়ে দাড়িয়েছে ৪ যুবকের।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, ঐ ৪ জনেরই মৃত্যু হয়েছে বেপরোয়া গতি ও হেলমেটবিহীন চলাচলের কারনে। এছাড়াও বিচ্ছিন্ন দূর্ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। গেলো বছরের ২২নভেম্বর বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিম ওসমান সেতুতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই তরুণের মৃত্যু হয়। সেদিন ঘুরতে গিয়ে রাত ১১ টায় ব্রীজের ওপর দুর্ঘটনার শিকার হন দুই বন্ধু। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মধ্যরাতে ও সকালে দুজনের মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন সদর উপজেলার পুরাতন সৈয়দপুর এলাকার সালামত হোসেন ও গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত নারী সদস্য নিলুফা বেগমের ছেলে সিমন (১৯) এবং একই এলাকার স্বাধীনের ছেলে নাঈম (১৮)।
এর কয়েকমাস পড় চলতি বছরের জুন মাসে সেতুর মদনগঞ্জ প্রান্তের কাছাকাছি মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিহত হন বন্দর উপজেলার ফরাজিকান্দা এলাকার টিপু মিয়ার ছেলে ইমন(২৮)।
সর্বশেষ উদ্বোধনের ১ বছর পূর্তি শেষে ১৩ অক্টোবর রাতে প্রান হারায় জিহান নামের আরো এক মোটরসাইকেল আরোহী। লাগামহীন স্পিডে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাথায় প্রচন্ড আঘাতে মৃত্যু হয় তার। তিনি বুরুন্দি এলাকার নাছির মিয়ার ছেলে।
সচেতন মহল বলছে, সক্ষমতার চেয়ে গাড়ির চাপ বেশি। সড়কের যানজট থেকে মুক্ত হতে বাইক চালকরা বেসামাল গতিতে গাড়ি চালানোর কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে। ১ বছর আগে সেতুটি উদ্বোধন করা হয়। প্রথম মাসেই এই সড়কে দুর্ঘটনায় ১জনের মৃত্যু হয়। বাবা-মায়ের অসচেতনতাই এসব দূর্ঘটনার কারণ। অপ্রয়োজনে উঠতি তরুনদের হাতে মোটরসাইকেল তুলে দিলে এ বাহনের দূর্ঘটনার সংখ্যা বাড়িতেই থাকবে। এছাড়াও সেতুর ফাকা রাস্তায় প্রতিদিনই উঠতি যুবকদের মোটররেস বাড়ছে। এ ব্যাপারে বন্দর থানা প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ জরুরী।
Back to top button