রাজনীতি

স্বস্তিতে ‍গিয়াস দুশ্চিন্তায় মান্নান

সোনারগাঁয়ের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন সমীকরণ তৈরি হয়েছে আসন পূনবিন্যাস নিয়ে। সিদ্বিরগঞ্জকে সোনারগাঁয়ের সাথে যুক্ত করায় স্বস্তিতে রয়েছেন মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন। অপরদিকে, এ আসনটিতে দীর্ঘদিন ধরে একচ্ছত্রভাবে রাজনীতি করা আজহারুল ইসলাম মান্নান রয়েছেন দুশ্চিন্তায়। 

আজহারুল ইসলাম মান্নান বিগত স্বৈরাচার সরকারের সময় সোনারগাঁয়ের মাঠ দখল করে রেখেছিলেন। প্রত্যেকটি ওয়ার্ড ও ইউনিয়নে ছিলো তার একচ্ছত্র প্রভাব। ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাবার পর পুরো সোনারগাঁ এককভাবে তার নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। কিন্তু নতুন নিয়মে সীমানা পূনবিন্যাসে সিদ্বিরগঞ্জ সংযুক্ত হওয়ায় এবার চরম বিপাকে পড়ে গেছেন বিএনপির এ নেতা। 

অন্যদিকে, মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন তৎকালীন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এমপি শামীম ওসমানকে বিপুল ভোটে হারিয়ে ফতুল্লা-সিদ্বিরগঞ্জ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। নেতাকর্মী থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি জনগনের সাথে রয়েছে তার নিবীড় সম্পর্ক। পাশাপাশি সোনারগাঁ আসনে রয়েছে তার বিশাল কর্মীবাহিনী। এ আসন থেকে তিনি এবার মনোনয়ন প্রত্যাশী। আসনটিতে সভা সমাবেশ করে সোনারগাঁয়ের রাজনীতিতে গিয়াসউদ্দিন এখন সক্রিয় রয়েছেন। একইসাথে গনসংযোগ ও আলোচনা সভা করে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। নতুন নিয়মে আসন পূনবিন্যাস হওয়ায় সুবিধাতে রয়েছেন প্রবীন বিএনপির এ নেতা। 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন ও আজহারুল ইসলাম মান্নান রাজনৈতিক অঙ্গনে কেউ কারো থেকে কম নয়। সোনারগাঁয়ে মান্নানের বিশাল কর্মীবাহিনী থাকলেও সিদ্বিরগঞ্জে কর্মীবিহীন তিনি।  ফলে অনেকটাই বেগ পোহাতে হবে তাকে। কিন্তু গিয়াসউদ্দিনের রয়েছে সামনে সুবর্ন সুযোগ। ফতুল্লা ও সিদ্বিরগঞ্জে বিশাল কর্মীবাহিনী থাকায় বেশ সুবিধাজনক স্থানে আছেন তিনি। 

এখন দেখার বিষয়, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সবুজ সংকেত পেয়ে কে মাঠে থাকেন?

Leave a Reply

Back to top button