সেলিম প্রধানের বাড়িতে হামলা-গুলি, অভিযোগ করবেন রাশিয়ান অ্যাম্বাসিতে
রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থীর পক্ষে সমর্থন দেওয়ায় জাপান-বাংলাদেশ গ্রুপের চেয়ারম্যান সেলিম প্রধানের বাড়িতে দফায় দফায় হামলা ও গুলি করার অভিযোগ উঠেছে। এতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৪ মে) সকালে উপজেলার সাওঘাট এলাকায় ডন সেলিমের বাস ভবনে ১ম দফায় হামলার ঘটনা ঘটে। পরে বিকেলের দিকে আবারো হামলা করা হয়।
আহতরা হলেন নিরাপত্তাকর্মী আক্তার হোসেন, ফরহাদ হোসেন, শফিকুল ইসলাম, শিপন হাওলাদার, রানা শেখ ও ফারুক হোসেন।
হামলা প্রসঙ্গে সেলিম প্রধান দাবি করেন, সকালে বালু হাবিবের (সদ্য নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিব) নির্দেশে শতাধিক লোক দেশি অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। বাড়ির লোকজনকে মারধর করেছে। তাদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। তারা ঘোষণা দিয়ে আমাকে মেরে ফেলার জন্য এই হামলা করেছে। সদ্য অনুষ্ঠিত উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচনে বালু হাবিবের (হাবিবুর রহমান হাবিব) প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রানুর পক্ষে সমর্থন দেওয়ায় এই হামলা করা হয়েছে। এমপি সাহেবের ছেলে পাপ্পা গাজীর (গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা) নির্দেশে বালু হাবিব ও তার লোকজন এই হামলার সাহস পেয়েছে।
রাশিয়ান অ্যাম্বাসিতে অভিযোগ করবেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমার স্ত্রী ও সন্তানরা রাশিয়ার নাগরিক। আমি এই ঘটনায় রাশিয়ান অ্যাম্বাসিতে অভিযোগ করবো। এ অবস্থায় স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই আমি এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ করবো।
এ বিষয়ে মন্তব্য নেওয়ার জন্য রূপগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিবের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
রূপগঞ্জ থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, একটি আড়তের ব্যবসাকে কেন্দ্র করে সকালে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এরপর থেকে যথেষ্ট সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
বিকালে হামলার ঘটনা ও গুলি ছোড়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সেখানে পুলিশ রয়েছে। তারা বিষয়টি দেখছে।
প্রসঙ্গত, গত ২১ মে অনুষ্ঠিত রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু হোসেন ভূঞা রানুকে সমর্থন দিয়ে প্রকাশ্যে তার পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছিলেন সেলিম প্রধান। নির্বাচনে হাবিবুর রহমান হাবিব বিজয়ী হয়েছেন।