সারাদেশ

শিশু ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে খানপুরে যুবককে পিটিয়ে হত্যা

নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুর এলাকায় ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ তুলে এক যুবককে বাসা থেকে তুলে নিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার, ২০ অক্টোবর রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নিহতের নাম আবু হানিফ (৩০)। তিনি বাগেরহাটের শরণখোলার আবুল কালামের ছেলে এবং পেশায় নিরাপত্তা প্রহরী ছিলেন। সে খানপুরের জিতু ভিলাতেই থাকতো। তার দুই মেয়ে এক ছেলে ও স্ত্রী গ্রামের বাড়িতে থাকে।

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাছির আহমদ বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি জিতু ভিলায় একজন গার্মেন্টস কর্মীর ১১ বছর বয়সী শিশু সন্তানকে সে ভয় দেখিয়ে একাধিক বার ধর্ষণ করে। রোববার রাতে ঘটনাটি মেয়েটি তার মাকে জানালে তার মা সোমবার দুপুরে এলাকাবাসীকে জানায়। ধর্ষণের অভিযোগে সোমবার দুপুরে প্রথমে কয়েকজন তাকে ধরে খানপুর জোড়া ট্যাংকি এলাকায় নিয়ে আসে। পরে তাকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করে।

ওসি নাছির আহমদ বলেন, ধর্ষণচেষ্টার বিষয়ে আগে কোনো অভিযোগ থানায় আসেনি। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। আসলে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনা ঘটেছিল কি না, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

নিহতের বোন রাবেয়া বেগমের স্বামী মোহাম্মদ ইব্রাহিম জানান, সোমবার দুপুরে খানপুরের আজিম ভিলার মালিকের ছেলে অভি তাদের বাসায় আসে। এসে তার স্ত্রী রাবেয়া বেগমকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। পরে ইব্রাহিম মিয়াকে ধরে খানপুর জোড়া টাংকির নিচে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে ইব্রাহিম মিয়া দেখতে পান তার শ্যালক আবু হানিফকে সেখানে আটকে রাখা হয়েছে। অভির লোকজন ইব্রাহিম মিয়াকে চড় থাপ্পড় মারে। তার লুঙ্গি খুলে উলঙ্গ করার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে তারা আবু হানিফকে অটো রিক্সায় করে অন্য কোথাও নিয়ে যায়। রাতে তারা খবর পান যে খানপুর হাসপাতালে কে বা কারা আবু হানিফের লাশ ফেলে রেখে গেছে।

খানপুর হাসপাতালের কর্তব্যরত ডা: শাহাদাৎ জানান, মুমূর্ষু অবস্থায় কয়েকজন যুবক তাকে নিয়ে আসে আনুমানিক ৩টায়। তার হাতে পায়ে ক্ষত ছিল, ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়ার কথা বলায় অজ্ঞাত যুবকরা তাকে ফেলে পালায়। পুলিশকে সাথে সাথে খবর দেয়া হলেও সেখান থেকে কেউ আসেনি। ৮টায় তার মৃত্যু হয়।

Leave a Reply

Back to top button