সারাদেশ

শামীম ওসমান সিলেটে ‘আত্মগোপনে’!

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ও আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা এ কে এম শামীম ওসমান মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট অ্যান্ড গলফে রয়েছেন- এমন গুঞ্জনে সেখানে তল্লাশি চালান পুলিশ ও সেনাসদস্যরা। পরে জানা যায়, বিষয়টি আসলে গুজব। 

শামীম ওসমান গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্টে আছেন—এমন গুঞ্জন শোনার পর থেকে আশপাশের উৎসুক লোকজন রিসোর্টের আশপাশে ভিড় করেন। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি দল সেখানে গিয়ে রিসোর্টের প্রবেশদ্বারসহ আশপাশ ঘিরে রাখেন। পরে পুলিশের সঙ্গে সেনাসদস্যরা হোটেলে তল্লাশি চালানো হয়। কিন্তু শামীম ওসমানকে সেখানে পাওয়া যায়নি।

এদিকে, এ গুঞ্জনের ব্যাপারে গ্র্যান্ড সুলতান কর্তৃপক্ষ তাদের ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্ট জানায়, ‘সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে,গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট অ্যান্ড গলফ সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ব্যক্তি মালিকানাধীন একটি পাঁচতারকা রিসোর্ট। যা কিনা সুনামের সঙ্গে আমাদের বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে ও পর্যটনখাতকে আন্তর্জাতিক মানে রূপান্তরিত করেছে। দেশবাসী সেটা জানেন।

পোস্টে তারা লেখে, ‘বর্তমানে বাংলাদেশের এই ক্রান্তিলগ্নে কিছু মহল বিচার বিবেচনা না করেই উসকানিমূলক কিছু পোস্ট ছড়িয়ে দিয়েছে। যা কিনা পর্যটন খাত তথা গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট অ্যান্ড গলফের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করার জন্য যথেষ্ট।’

রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ লেখে, ‘সুতরাং আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানাব আপনারা যেন কোনো কিছু না জেনে, না বুঝে সোশ্যাল মিডিয়াতে দেশের পর্যটনশিল্প ক্ষুণ্ন হয় এমন কোনো পোস্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন। এ ব্যাপারে পর্যটনশিল্প রক্ষার্থে বর্তমান সরকারকে বিশেষ দৃষ্টি দেওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’

হোটেল মহাব্যবস্থাপক আরমান খান জানান, শামীম ওসমান বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার কারণে বিক্ষুব্দ জনতা রিসোর্টে ভিড় করেন। পরে সেনাবাহিনী ও জনপ্রতিনিধিরা আসলে পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তিনি আরও বলেন, শামীম ওসমান আত্মগোপনের বিষয়টি সঠিক না।

Back to top button