মাথা থেতলে স্ত্রীকে হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদন্ড

বন্দরে পারিবারিক অশান্তির কারণে স্ত্রীকে মাথা থেতলে হত্যা মামলায় স্বামী শিক্ষক আমিনুল ইসলামকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে নারায়ণগঞ্জের একটি আদালত।
বুধবার (২৩ জুলাই) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মো. আবু শামীম আজাদ আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
দন্ডপ্রাপ্ত আমিনুল ইসলাম সোনারগাঁ বারদী এলাকার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি বন্দর গার্লস স্কুলের শিক্ষক ছিলেন।
রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করে আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাইয়ুম খান বলেন, ২০১৭ সালে আমিনুল ইসলামের সঙ্গে সোনারগাঁ উপজেলার বারদি এলাকার মো. করিম মোল্লার মেয়ে শান্তা আক্তারের বিয়ে হয়। পারিবারিক কলহের কারণে ২০১৯ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয় এবং শান্তা অন্যত্র বিয়ে করেন। তবে সাত মাস পর আমিরুল ইসলাম পুনরায় শান্তাকে বিয়ে করেন। এরপর থেকে বন্দরের রাজবাড়ি এলাকায় বসবাস শুরু করেন তারা। দ্বিতীয় বিয়ের দুই মাসের মধ্যে ফের পারিবারিক কলহের জেরে শিলপাটা দিয়ে মাথা থেঁতলে স্ত্রী শান্তাকে হত্যা করে আমিরুল।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ জাকির বলেন, ‘আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিতে বলেছেন, পারিবারিক অশান্তির কারণে শিলপাটা দিয়ে স্ত্রী শান্তার মাথা থেঁতলে হত্যা করেছেন। এরপর বঁটি দিয়ে শরীরের কয়েক জায়গায় চামড়া ছিলে তাতে লবণ লাগিয়ে দেন। এ ঘটনায় শান্তার বাবা বাদী হয়ে মামলা করেন। বিচার কার্যক্রম শেষে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।