সারাদেশ

বেনজীরের জব্দ করা বাংলোতে কিছুই পাওয়া যায়নি!

রূপগঞ্জে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের সিলগালা করা বাংলো বাড়িতে তল্লাশি করেছেন জেলা প্রশাসন ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্মকর্তারা।দুদকের করা মামলায় হাইকোর্টের আদেশে বুধবার দুপুর ১টায় বাংলোটিতে তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশি চলাকালীন বাড়িতে সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষেধ ছিল। কেউ যাতে বাড়িতে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য বাড়িটির প্রধান ফটকে আনসার ও পুলিশ সদস্য মোতায়েন ছিল।

প্রায় চার ঘন্টা তল্লাশি শেষে বাড়ি থেকে বেরিয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের জানান, এই বাড়িতে বিলাসবহুল তেমন কিছুই তারা পাননি। ভেতরে যেসব জিনিসপত্র ছিল তা সবই ‘লোকাল প্রডাক্ট’।

তল্লাশি শেষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শফিকুর আলম বলেন, এটি একটি আবাসিক ভবন। একটা পরিবার থাকলে যেই রকম জিনিসপত্র পাওয়া যায়, সেগুলোই আমরা পেয়েছি। রান্নাঘরে চায়ের কাপ, আসবাবপত্র, টিভি, এসি এই ধরনের জিনিসপত্র আমরা পেয়েছি। এসবের তালিকা আমরা করেছি।

সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষেধ রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে এডিসি শফিকুর বলেন, নির্ভুলভাবে যাতে তথ্যগুলো আমরা কালেক্ট করতে পারি, সেজন্য সাংবাদিকদের প্রবেশ বন্ধ ছিল।

দুদকের উপ-পরিচালক মঈনুল হাসান রউশানী বলেন, দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত কতৃক বেনজীর আহমেদের বাড়ির মালামাল জব্দ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বাড়িটির মালামাল জব্দ করা হয়েছে। আদালতে মালামালের জব্দ তালিকা দেওয়া হবে।

দুদকের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত গত ১২ জুন বেনজির আহমেদের এ বাড়িটি ক্রোক করার আদেশ দেন। সেই আদেশের ভিত্তিতে ৬ জুলাই দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, উপজেলা প্রশাসন এবং উপজেলা ভূমি অফিসের সহযোগিতায় বাড়িটি জব্দের পর সিলগালা করে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন।

পূর্বাচল উপশহরের কাছে রূপগঞ্জ উপজেলার গুতিয়াবো এলাকায় আনন্দ হাউজিং সোসাইটি নামে আবাসন প্রকল্পে ২০২১ সালে ২৪ কাঠা (৩৯.৬০ শতাংশ) জমির ওপর ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে দুই তলা ডুপ্লেক্স বাড়িটি নির্মাণ করেন সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ। এরপর থেকে দৃষ্টিনন্দন ও বিলাসবহুল এই বাড়িটিতে নিয়মিত আসা যাওয়া করতেন তিনি। 

 

Back to top button