বাম গণতান্ত্রিক জোটের মিছিলে পুলিশের লাঠিপেটায় আহত ২০
তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে ডাকা অর্ধদিবস হরতালের সমর্থনে নারায়ণগঞ্জ বাম গণতান্ত্রিক জোটের বের করা মিছিলে বাধা দিয়ে নেতা-কর্মীদের লাঠিপেটা করেছে পুলিশ৷ এতে অন্তত বিশজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন জোটের নেতারা৷
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সকাল পৌনে সাতটার দিকে শহরের দুই নম্বর রেলগেইট এলাকায় বঙ্গবন্ধু সড়কে এ ঘটনা ঘটে৷
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হরতাল সমর্থনে সকালে শহরে মিছিল বের করে জোটের নেতারা৷ মিছিলটি দুই নম্বর গেট এলাকায় আসলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়৷ সেখানে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে নেতা–কর্মীদের বাগ্বিতণ্ডা হয়।এরপর ব্যানার কেড়ে নিয়ে লাঠিচার্জ করে পুলিশ৷ সেখানে অন্তত ২০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন৷
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শিবনাথ চক্রবর্তী বলেন, ‘আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে ব্যানার কেড়ে নিয়ে বিনা উসকানিতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ৷ এতে আমাদের অন্তত ২০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন৷ সবাই আমরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছি৷’
আহতদের মধ্যে সিপিবির জেলা সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শিবনাথ চক্রবর্তী, বাসদের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম খান বিপ্লব, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের জেলা কমিটির সহসাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন সোহাগ, বাসদের সাংস্কৃতিক সংগঠন চারণের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জামাল হোসেন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রাতুল, , রি-রোলিং স্টিল মিলের সংগঠক রেজাউল করিম, ছাত্রফ্রন্টের নেতা জিহাদ হোসেন, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের গাবতলী শাখার মো. আলম, সিপিবির নুরুল ইসলাম, শরৎ মন্ডল, শ্রমিক ফ্রন্টের রোকন মিয়ার নাম পাওয়া গেছে৷
এবিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন বলেন, রাস্তা অবরোধ করলে হরতাল সমর্থকদের সরিয়ে দেয়া হয়। কোন লাঠিচার্জ করা হয়নি।