পূজার পর মরণ কামড় দিবে : শামীম ওসমান
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, পূজার পর একটা মারাত্নক আঘাত আসবে। এ আঘাতে শামীম ওসমান না থাকতেও পারে। মরে তো গেছি বহু আগে, এখন বেঁচে আছি অতিরিক্ত। আমরা মরার জন্য প্রস্তুত। দরকার হলে শেখ হাসিনার জন্য আমরা জীবন দিবো।
বুধবার (১১ অক্টোবর) সোনারগাঁঢের কাঁচপুরে আগামী ১৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশকে কেন্দ্র করে প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, এখন নির্বাচন যারা নিয়ে চিন্তা করছেন তারা আওয়ামী লীগ না। প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে বলেছিলাম আমাকে মনোনয়ন দিয়েন না। সবাই যেখানে চায় সেখানে আমি বলেছি দিয়েন না। আমাকে অন্য ভাবে কাজে লাগান। আমি এমপি না হলে কিছুই হবে না। কিন্তু শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী না হলে আমার মেয়ে-বউদের ধর্ষণ করবে। তারাই যারা একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা করেছিল। এটা একাত্তরের চেয়েও বড় যুদ্ধ। আমি সারারাত ঘুমাই না। আমি খবরগুলো পাই। কোনদিক দিয়ে এগোচ্ছে সেগুলো খবর আমি পাই। ওরাও জানে আমি কোনদিক দিয়ে এগোচ্ছি।
‘পূজার পর মরণ কামড় দিবে’ মন্তব্য করে শামীম ওসমান বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আসছে পূজার মধ্যে ও পূজার পরে মরণকামড় দিবে। দেশটাকে ১০ থেকে ১২ দিনের মধ্যে চরম অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবে।বড় ধরনের আঘাত আমাদের মোকাবেলা করতে হবে। ওরা চেষ্টা করবে কিন্তু পারবে না। কারণ, শয়তান কখনো আল্লাহর রহমতের সাথে পারে না। খোকন সাহা বলেছে জুতা পিটা করবে, আমি বলবো ফাইনাল করে দিমু যা করার।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জ অতিতের জায়গায় ফিরে আসতে চায়। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে কেন্দ্র। সমাবেশে আমি সবার সামনে বলবো। কমিটি ঝুলাই রাখে। মূলা ঝুলাই রাখাটা আমার পচ্ছন্দ হয় না। অভ্যন্তরিন কোন্দল বাড়াইতে থাকে। নারায়ণগঞ্জ যা করতে পারবে আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতাছি ঢাকাও তা করতে পারবে না।
সোনারগাঁও আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. শামসুল ইসলাম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, বিশেষ অতিথি ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক এড. আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল কায়সার, সোনারগাঁ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান মাসুম, কাঁচপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন, বারদি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লায়ন মাহবুবুর রহমান বাবুল, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন ভূঁইয়া সাজনু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হাসান নিপু, সোনারগাঁ যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু, সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার, সোনারগাঁ ছাত্রলীগের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম রাশেদ, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সাগরসহ নেতৃবৃন্দ।