সারাদেশ

নৌকার কাছে ধরাশয়ী খোকা

লিয়াকত হোসেন খোকা নারায়ণগঞ্জ-৩ সোনারগাঁয়ের এমপি এবং জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য। ভোট ব্যাংক না থাকলেও মহাজোটের কারণে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে জেলার এই সংসদীয় আসনটি দখলে রেখেছিলেন তিনি। এবারের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থী কায়সার হাসনাতের চমকে বিরাট ব্যবধানে ধরাশয়ী হতে হলো খোকাকে। এরমধ্যে দিয়ে ‘খোকা হয়ে গেলেন বোকা’ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক কর্মীরা।

তারা বলছে, এই নির্বাচনে খোকার পরাজয় অনেকটাই প্রত্যাশিত ছিল। খোকার কোন রাজনৈতিক ভিত্তি নেই সোনারগাঁয়ে। ‘ছাড়ে’ এমপি হওয়া খোকার রাজনৈতিক মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি রাজনৈতিক কর্মীদের।

ফলাফল বলছে, সোনারগাঁয়ের ১৩১টি কেন্দ্রে ভোট গণনা শেষে নৌকা মার্কা নিয়ে আব্দুল্লাহ আল কায়সার পেয়েছেন ১ লাখ ১২ হাজার ৮০৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৮১১ ভোট।

অভিযোগ ছিলো দীর্ঘদিন ধরে এই আসনে নৌকার মাঝি না থাকায় সাংগঠনিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছিল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এমন অভিযোগের পর গেল বছরের ১৩ অক্টোবর কাঁচপুরের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, নারায়ণগঞ্জের এক জাতীয় পার্টির এমপি আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে দিচ্ছে৷ কাজেই ওই এলাকাকে রক্ষার জন্য, এলাকার মানুষদের রক্ষার জন্য, সেখানে মানুষেরা নৌকা মার্কা চায়৷

এরপর থেকেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সারের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হন। কায়সার হাসনাতকে বিজয়ী করতে দিনরাত পরিশ্রম করেন নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।

জয়ের বিষয়ে এই আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল কায়সার বলেন, সংসদ সদস্য থাকাকালীন সোনারগাঁয়ে আমি কোনো প্রতিহিংসার রাজনীতি করিনি। এ কারণে আওয়ামী লীগ ছাড়াও বিভিন্ন দলের সমর্থক ও সাধারণ মানুষ আমাকে পছন্দ করেন। ১০ বছর ‘নৌকার ঘাঁটি’ এই এলাকার মানুষ নৌকা মার্কায় ভোট দিতে পারেনি। এবার তারা মুখিয়ে ছিল নৌকায় ভোট দেবার জন্য।

 

 

 

Back to top button