নীরবে কেটে গেল মোশারফ চেয়ারম্যানের মৃত্যুবার্ষিকী
সোনারগাঁয়ের ‘প্রভাবশালী ও বর্ষিয়ান নেতা’ বলা হয় চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেনকে। তিনবার মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও দুইবার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে ছিলেন তিনি। তার ছোট ভাই মোবারক হোসেন দুইবার ও তার ভাতিজা কায়সার হাসনাত একবার সোনারগাঁয়ের এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। সেই পরিবারের সন্তান মোশারফ হোসেন বার্ধক্যজনিত কারণে দুই বছর আগে ২২ শে জুলাই রাজধানীর একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন।
সোনারগাঁয়ে আওয়ামী লীগের জন্যও মোশারফ হোসেনের অবদান অনস্বীকার্য। আওয়ামী লীগের একসময়কার দাপুটে এই প্রবীণ নেতার মৃত্যুবার্ষিকী ছিল আজ ২২ জুলাই শনিবার। কিন্তু তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীর দুই বছর পেরোতে না পেরোতেই স্মৃতির আড়ালে যেন চলে গেছেন তিনি !
উপজেলার এই বর্ষিয়ান নেতাকে, তাঁর অবদানকে ভুলে গেছেন সোনারগাঁ আওয়ামী লীগের নেতারা। শনিবার অনেকটা নীরবেই চলে গেছে সাইফুর রহমানের ২য় মৃত্যুবার্ষিকী।
গত বছর প্রথম মৃত্যু বার্ষিকীতে মোগরাপাড়া বাজারে ছোট পরিসরে মিলাদ মাহফিল করেই শেষ হয় মৃত্যৃবার্ষিকীর অনুষ্ঠানিকতা। কিন্তু এবছর প্রয়াত এই নেতার মৃত্যুবার্ষিকী অনেকটা নীরবেই পার হয়েছে। উপজেলা কিংবা আওয়ামী লীগের অংগসঙ্গঠন কেউই প্রয়াত এই নেতার মৃত্যুবার্ষিকীতে আলোচনা সভারও আয়োজন করেনি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মোগরাপাড়া ইউনিয়নের এক প্রবীন নেতা জানান, মোশারফ হোসেন চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে মৃতুর আগ পর্যন্ত দেখেছি কতো এই নেতা সেই নেতা পেতি নেতা পিছনে পিছনে ঘুরতেন। তাদের যন্ত্রনায় আমরা কাছে যেতে পারতাম না। তার নাম বিক্রি করে তার পরিবার থেকে শুরু করে কতো নেতা ধান্ধাবাজি করে কোটিপতি বনে গেছে। শুনছি পরিবারোর জন্য রেখে গেছেন হাজার কোটি টাকার সম্পদ। অথচ সেই নেতার মৃত্যুর দুই বছর না হতেই সবাই ভুলে গেলো। এটা কি সম্ভব?