সারাদেশ

খেলার মাঠ রক্ষার্থে গরুর হাট নাবসানোর জন্য ডিসির কাছে স্মারক লিপি প্রদান 

খেলার মাঠ রক্ষার্থে গরুর হাট নাবসানোর জন্য ডিসির কাছে স্মারক লিপি প্রদান 

স্টাফ রিপোর্টার (Somoysokal) নারায়ণগঞ্জের বৃহত্তর খানপুর, নগর খানপুর, তল্লা, হাজীগঞ্জ, এম সার্কেস, পানির কল এলাকার বাসিন্দারা চিত্তরঞ্জন মাঠ এবং বরফকল মাঠ গরুর হাটের জন্য ইজারা না দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।

 

বুধবার ৯ এপ্রিল দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ডিসি মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন এলাকাবাসী ও খেলোয়াড়রা।

 

স্মারকলিপিতে এলাকাবাসী উল্লেখ করেন, চিত্তরঞ্জন মাঠ একটি ঐতিহ্যবাহী খেলার মাঠ হিসেবে পরিচিত। এ মাঠ থেকে জাতীয় পর্যায়ে ফুটবলার, ক্রিকেটারসহ অনেক ক্রীড়াবিদ তৈরি হয়েছেন। যেমন- জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক ফুটবলার সুজন ভূঁইয়া, বর্তমান জাতীয় ফুটবল দলের সহ-অধিনায়ক তপু বর্মন, হৃদয় এবং সাবেক ক্রিকেটার মো. শরীফ। এছাড়া, এখানে সোনালী অতীত ক্লাবের খেলাধুলা এবং একাধিক ক্রীড়া একাডেমি নিয়মিত অনুশীলন করে। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এর পক্ষ থেকে মাঠটির উন্নয়নে পূর্বে প্রচুর পরিমাণ অর্থ খরচ করা হয়েছে।

এলাকার বাসিন্দারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, যদি এই মাঠে গরুর হাট বসানো হয়, তবে এই সমস্ত অবকাঠামো নষ্ট হয়ে যাবে এবং খেলার মাঠটি বিলুপ্ত হয়ে যাবে।

অন্যদিকে, বরফকল মাঠে দীর্ঘদিন ধরে শাপলা ক্রিড়া সংসদ, মহসীন ক্লাব, পোলস্টার ক্লাব, ডায়মন্ড ক্লাব এবং সমাজ উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগে খেলাধুলা পরিচালিত হচ্ছে। এখান থেকে জাতীয় পর্যায়ের খেলোয়ারও তৈরি হয়েছেন, যেমন- সম্রাট হোসেন, সুজন, তপু, রিয়াজ, শাহাজাদা, হীরা। তবে, বর্তমানে শিশুদের আউটডোর কার্যক্রম আশংকাজনকভাবে কমে আসছে, এবং তারা বিভিন্ন গ্যাজেটসের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে, যা তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে বাধা সৃষ্টি করছে।

এলাকাবাসীরা অভিযোগ করেন, যদি বরফকল মাঠে গরুর হাট বসানো হয়, তবে এটি খেলাধুলার জন্য অনুপযোগী হয়ে পড়বে এবং মাঠে বিভিন্ন ভাইরাসজনিত রোগের সংক্রমণ ঘটতে পারে।

এলাকাবাসী, সিটি কর্পোরেশন প্রশাসন এবং জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছেন, যাতে উক্ত মাঠগুলোকে গরুর হাট হিসেবে ইজারা না দেওয়া হয় এবং খেলার মাঠ হিসেবে সুরক্ষিত রাখা হয়।

Leave a Reply

Back to top button