আসছেন প্রধানমন্ত্রী, সাজছে নারায়ণগঞ্জ
রাত পেহালেই দীর্ঘ ১৫ বছর পর নারায়ণগঞ্জে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণার শেষ দিনে জাতীর উদ্দেশ্যে ভাষণ দিবেন শেখ হাসিনা। তবে, কী বার্তা দিবেন সেটাই আলোচনার অন্যতম বিষয়।
ইতিমধ্যে তার আগমনকে সামনে রেখে সকল ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে নিরাপত্তাকে।নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী, জেলা পুলিশ, র্যাবসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা মাঠে কাজ করবে।
প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যেও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে।
সর্বশেষ ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ওসমানী পৌর স্টেডিয়ামে এক নির্বাচনী জনসভায় নারায়ণগঞ্জ শহরে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) ফতুল্লার ইসদাইরে অবস্থিত একেএম শাসসুজ্জোহা স্টেডিয়ামে আসবেন প্রধানমন্ত্রী। বেলা আড়াইটা বাজে ওই জনসভায় যোগ দিয়ে সন্ধ্যার আগে প্রধানমন্ত্রীর ঢাকায় ফেরার পরিকল্পনা রয়েছে।
জানা গেছে, জনসভায় সভাপতিত্ব করবেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই। সঞ্চালনার দায়িত্ব এখনো কাউকে না দেওয়া হলেও, শামীম ওসমানই সঞ্চালনা করতে পারেন ওই জনসভায়।
গত ৩১ ডিসেম্বর এক প্রস্ততি সভায় এমপি শামীম ওসমান বলেন, ‘আমার মা (শেখ হাসিনা) আসছে। কোথায় কি লাগে আমাকে বলবেন। নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা পরে, আগে আমার নেত্রীর সম্মান। আমি আশা করি সেইদিন সকলেই সেখানে উপস্থিত থাকবেন। জেলা-মহানগরের নেতৃবৃন্দরা থাকবে, আইভী থাকবে; আমরা প্রমান করবো নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ আছে এবং থাকবে। আমি নেত্রীর পাশাপাশি আমার প্রিয় বোন শেখ রেহানা আপাকেও আনার চেষ্টা করছি। উনি এই প্রথমবার হয়তো নারায়ণগঞ্জে আসবেন।’
সমাবেশস্থল পরিদর্শনে গিয়ে শামীম ওসমান বলেন, আমি আশাবাদী এই সমাবেশটা নারায়ণগঞ্জের ইতিহাসের সর্বকালের সর্ব বৃহৎ সমাবেশ হবে। আমি সবার থেকে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আমাদের এখানে অনেক সিনিয়র নেতা কর্মীরা আছেন, তারা না থাকলে আজ আমি শামীম ওসমান হতে পারতাম না। তারা ছাড়া আমার দুই পয়সার দাম নাই। কিন্তু যেহেতু নেত্রী আসছেন, নেত্রীর নিরাপত্তার স্বার্থে মঞ্চে নির্দিষ্ট কিছু লোক ছাড়া অন্য কাউকে উঠাবো না। আমাদের টার্গেট নেত্রী আসবেন, বক্তব্য দিবেন এবং সন্ধ্যার আগে ঢাকায় ফিরবেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেছেন, যত ধরনের নিরপত্তার ব্যবস্থা রয়েছে আমরা নিশ্চিত করেছি। শুরু থেকে সমাবেশস্থল পযর্ন্ত আমাদের ৩ হাজার পুলিশ ফোর্স মোতায়েন থাকবে। এর বাইরে বিভিন্ন স্পটে সাদা পোশাকে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা থাকবে।হাই লেভেলের যতো সিকিউরিটি ব্যবস্থা আছে আমরা সব নিশ্চিত করেছি।