আমরা মদিনার ইসলামকে বিশ্বাস করি, মওদুদীর নয়: নারায়ণগঞ্জে সালাহউদ্দিন

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আমাদের দেশে নির্বাচন এলেই ধর্মকে ব্যবহার করার চেষ্টা দেখা যায়। বাংলাদেশের ৯২ শতাংশ মানুষ মুসলমান। আমরা মদিনার ইসলামকে বিশ্বাস করি, আমাদের নবীর (সা.) ইসলামকে বিশ্বাস করি কিন্তু মওদুদির ইসলামে বিশ্বাস করি না। যারা ফিতনা ও বিভাজন সৃষ্টি করতে চায়, তাদের থেকে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।
শনিবার (১ নভেম্বর) নারায়ণগঞ্জ শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে আয়োজিত ‘আজমতে সাহাবা সম্মেলন’-এ বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, এখানে বক্তব্য দেওয়ার যোগ্যতা আমার নেই। আমি এসেছি বিশিষ্ট আলেমদের বক্তব্য শোনার জন্য। যারা ইসলামকে ব্যবহার করে রাজনীতি করে না, তারা এখানে আছেন। যারা দীনকে আগে এবং দুনিয়াকে পরে মনে করেন, তারাই এখানে আছেন। যারা ইসলামকে ব্যবহার করে রাজনীতিতে বিভ্রান্তি তৈরি করতে চায়, তাদের থেকে আমাদের দূরে থাকতে হবে। রাজনৈতিক কারণে বক্তব্য দেওয়া যেতে পারে, সেটিকে আমরা স্বাগত জানাই। তবে কেউ যেন আমাদের দ্বীনকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে না পারে আপনারা সতর্ক থাকবেন।
হাসিনা সরকারের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, হাসিনার সরকার ইসলামবিদ্বেষী ও মুসলিমবিদ্বেষী ছিল। তারা আলেমদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে। আল্লাহর হুকুমে কীভাবে তাদের রাজনীতির অবসান ঘটেছে আমরা তার সাক্ষী। এখন আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত এমন রাজনীতি করা, যার মাধ্যমে আওয়ামী অপরাজনীতি বিলুপ্ত হয়ে বাংলাদেশে আদর্শিক রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত হয়।
মুফতি মনির হোসেন কাসেমীর সভাপতিত্বে আয়োজিত এই সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন হেফাজতে ইসলামের আমির মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী। আরও বক্তব্য দেন জমিয়তের সিনিয়র সহসভাপতি মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, জমিয়ত মহাসচিব মুফতি মনজুরুল ইসলাম আফেন্দী, হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক মাওলানা খলিল আহমদ কুরাইশী, ভাইস প্রিন্সিপাল মুফতি জসিম উদ্দিন, জমিয়তের সহ-সভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী ও মাওলানা নাছির উদ্দিন মুনির প্রমুখ।
এছাড়া নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজিব, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, আবু জাফর আহমেদ বাবুল, মশিউর রহমান রনি, মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান, মাওলানা মীর আহমাদুল্লাহ ফুয়াদ, মুফতি হারুন, মুফতি আহসানুল্লাহ আব্বাসী, সমাজসেবক মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

