হাসিনার একতরফা নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ নেবে না : রিজভী

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী কয়েকদিন আগে বলেছেন, তাকে নাকি সরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে৷ আপনাকে তো সরাবে জনগণ৷ জনগণই বেছে নেবে কাকে ক্ষমতায় রাখবে ও রাখবে না৷ জনগণ চাচ্ছে যে আপনি (প্রধানমন্ত্রী) পদত্যাগ করুন৷ আর নির্বাচনকালীন একটি নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকার দিন যাতে জনগণ সুষ্ঠুভাবে ভোটটা দিতে পারে৷ জনগণই তো দেশের মালিক৷ কাকে রাখবে আর কাকে সরাবে সেটা তো জনগণের অধিকার৷ এটাকেই তো গণতন্ত্র বলে৷

বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পাগলা এলাকায় সাংবাদিকদের সামনে তিনি এসব কথা বলেন৷

রিজভী বলেন, আপনি যেভাবে ক্ষমতায় থাকতে চান সেটার শিকার হচ্ছে বিএনপি নেতা শহীদুল ইসলাম টিটু৷ অর্থ্যাৎ দেশে বিরোধীদলের জন্য কথা বলার কোন জায়গা থাকবে না৷ সরকার একের পর এক অন্যায়, লুটপাট, টাকা পাচার করবে, এটার বিরুদ্ধে কথা বলার, মিছিল করার, স্লোগান দেওয়ার কোন লোক থাকবে না৷ আর যদি থাকে তাহলে তাদের পরিস্থিতি হবে শহীদুল ইসলাম টিটুর মতো৷ শেখ হাসিনার জোর করে ক্ষমতায় থাকার পরিণতি হচ্ছে টিটুর চোখের দৃষ্টি চলে যাওয়া।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ এ নেতা আরও বলেন, বিএনপি নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে না৷ আমরা সেই নির্বাচন প্রতিহত করতে চাই, যেখানে জনগণ অংশগ্রহণ করে না, ভোটাররা ভোট দিতে পারে না৷ শেখ হাসিনার একতরফা নির্বাচনে আর অংশগ্রহণ করবো না এবং তাকে করতেও দেবো না।জনগণকে ত্যাজ্য করে নির্বিঘ্নে ফ্যাসিস্ট ক্ষমতায় থাকবেন তা হতে পারে না৷ কোন ত্যাগ বৃথা যায় না৷ এই ত্যাগের বিনিময়ে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হবে৷ বাকস্বাধীনতা ও গণতন্ত্র অবশ্যই ফিরে আসবে৷ রক্তচক্ষু নিয়ে যেভাবে শেখ হাসিনা শাসন করছে তার পতন হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় টিকে থাকতে দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন মন্তব্য করে রিজভী বলেন, ফ্যাসিস্ট ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার জন্য শেখ হাসিনা জনগণের বিরুদ্ধে, দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন৷ আপনি নিজের মতো করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সাজিয়ে নিয়েছেন৷ আপনার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আর পেটোয়া বাহিনী দিয়ে তরুণদের হত্যা করছেন, চোখের অলো কেড়ে নিচ্ছেন, হাতের কব্জি কেটে ফেলছেন, পা কেটে ফেলছেন৷এটা আর চলবে না, জনগণ আর চলতে দেবে না৷ যুবক-তরুণরা জাগ্রত হয়েছে প্রতিহত করার জন্য।

এই সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটু, নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া, সহআন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন, জেলা যুবদলের সদস্যসচিব মশিউর রহমান রনি, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নাহিদ হাসান ভূইয়াসহ প্রমুখ৷

পুলিশের ছোড়া ছররা গুলিতে চোখে গুলিবিদ্ধ ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহীদুল ইসলাম টিটুর বাড়িতে আসেন রুহুল কবির রিজভী৷এসময় তিনি টিটুর পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলেন এবং তাকে দলের পক্ষ থেকে সবধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন৷