সারাদেশ

বন্দরে খাঁন মাসুদের বিরুদ্ধে পিটানোর অভিযোগ

বন্দরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে একই রাতে সাবেক ২ সহযোগীকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ যুবলীগ নেতা খাঁন মাসুদ ও তার সহযোগী ডালিম হায়দার গংদের বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) রাতে বন্দর খেয়াঘাটস্থ অটোষ্ট্যান্ডের সামনে এ ঘটনাটি ঘটে।  এই ঘটনায় আমিন আবাসিক এলাকা যুবলীগ নেতা ও ব্যবসায়ী মাসুম আহম্মেদ ও লুৎফর রহমান গুরুত্বর আহত হয়েছেন।  আহত ২ যুবলীগ নেতা আগে খাঁন মাসুদের সহযোগী ছিলেন। বর্তমানে তারা আলাদা হয়ে ব্যবসা ও রাজনীতি করছেন।

এব্যাপারে আহত উভয় ব্যবসায়ী বন্দর থানায় পৃথক ২টি অভিযোগ করেছেন। অভিযুক্তরা হলেন, বন্দর খাঁনবাড়ি এলাকার খাঁন মাসুদ (৪১), তার ডান হাত খ্যাত ছালেহ নগর এলাকার ডালিম হায়দার (৪০) ওরফে ঠাকুর, হাজীপুর এলাকার পাভেল (৩২), র‍্যালী আবাসিক এলাকার গোলাম সারোয়ার সবুজ (৪২), সুজন ওরফে ঘাউরা সুজন (৪৫), ও চরধলেশ্বরী এলাকার পারভেজ ওরফে কসাই পারভেজ (৩২)।

ভুক্তভোগীরা জানায়, তারা উভয়ই বেশ কিছুদিন যাবৎ একই সাথে রাজনীতি ও ব্যবসা করে আসছে। এটা দেখে খাঁন মাসুদ ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা প্রায়সময়ই তাদের সক্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে নানা প্রপাগাণ্ডা ও কুৎসা রটাতো।  আমরা সবসময় তাদের এবিষয়ে এড়িয়ে চলেছি। কিন্তু ডালিম হায়দারের প্ররোচনায় খাঁন মাসুদ কোনভাবেই আমাদের ভালো কাজকে সহ্য করতে পারেনা। এরই জের ধরে আমরা নারায়ণগঞ্জ থেকে বন্দর ঘাট হয়ে বাড়িতে ফেরার পথে খাঁন মাসুদের নির্দেশে উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।

জানা গেছে, এ হামলায় ডালিম হায়দারের হাতে থাকা রামদা এর আঘাতে মাসুমের মাথায় মারাত্মক জখম হয়। এবং বাকিদের লাঠিসোটার আঘাতে তাঁর শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলাফুলা জখম হয়। এছাড়াও লুৎফরের দাবি ডালিম হায়দার পিস্তলের উলটো দিক দিয়ে তার মুখে সজোরে আঘাত করে লুৎফরের ঠোঁট থেঁতলে দেয়। এসময় তাদের ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে আসামিরা হত্যা করে শীতলক্ষ্যায় ভাসিয়ে দিবে বলে হুমকি দিয়ে সটকে পড়েন।

Back to top button