শেখ হাসিনা ও শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি: রনি
দেশ নায়ক তারেক রহমান বিগত সময় যে মেসেজগুলো দিয়েছেন, সেই নির্দেশনা অনুযায়ী কিন্তু ১৭ বছর ধরে আমরা কর্মসূচি পালন করে আসছি। আন্দোলন করায় আমরা অনেকেই গুম, নির্যাতনের শিকার হয়েছি।অনেকের নিজের মা-বাবাকে হারিয়েছেন বা পঙ্গুত্ব বরণ করেছিন। কেউ কেউ আবার বাড়িঘর ছাড়া অন্য জায়গায় বাস করতে হয়েছে। আওয়ামী লীগ বলে গিয়েছিল- কোটি কোটি নেতাকর্মীদের হত্যা ও গুম করা হবে। কিন্তু বাংলাদেশের এখন পর্যন্ত কোথাও কোন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, আমাদের দলীয় কর্মীদের কাছে নির্যাতিত হয়নি। ৫ তারিখের পর আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, ডিসি অফিস, এসপি অফিস, পুলিশ লাইন ও ডিসির বাংলো পাহারা দেওয়ার জন্য। আমরা কিন্তু সেই পাহারা দেওয়ার কাজ করেছি। আমি যে কাজটি করেছি, সারা বাংলাদেশের নেতাকর্মীরা একই কাজ করেছে।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বৈষম্যহীন, নিরাপদ, মানবিক বাংলাদেশ গড়ায় যুবদলের ভূমিকা শীর্ষক ঢাকা বিভাগীয় এক মতবিনিময় সভায় নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি এসব কথা বলেন।
রনি আরও বলেন, সরকার পতনের পর আমাদের কাজ ছিল মানুষ কিভাবে শান্তিতে থাকতে পারে। সরকার পতনের জন্য আমরা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র ভাইদের সাথে কাজ করেছি। শুধু ছাত্রদের একার পক্ষে এ আন্দোলন সফল হয়নি এর পেছনে ছাত্রদল যুবদল এবং বিএনপির অনেক ভূমিকা রয়েছে। তারেক রহমানের নেতৃত্ব আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছি কিন্তু একটি শ্রেনী বুঝাতে চায় তারা ব্যতীত আর কেউ এ দেশকে স্বাধীন করেনি।
যুবদলের এ নেতা বলেন, আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই শুধু মাত্র তারেক রহমানের একটি বার্তায় এ দেশ স্বাধীন হয়েছে। তারেক রহমান যদি এই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমর্থন না করতেন তাহলে এ দেশ স্বাধীন হতো না। শেখ হাসিনা দেশকে এমন এক জায়গায় নিয়ে গিয়েছিলো, যেখান থেকে কোনদিনও ফিরে আনা সম্ভব হতো না। তারেক রহমানের পরিশ্রম ও যুবদলের পরিশ্রমের কারণেই এই আন্দোলন সফল হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা এক তারেক রহমান ছাড়া আর কাউকে বিশ্বাস করতে চাই না। সুন্দর বাংলাদেশ গঠন করতে হলে, দেশনায়ক তারেক রহমান ছাড়া আর কেউ সুন্দর ভাবে গঠন করতে পারবে না। তবে আমাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ আসলে সেটা সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ আমরা ভূমিদস্যুতার বিরুদ্ধে অবস্থান করছি। জায়গা উদ্ধার করে ফিরিয়ে দেওয়ার কাজ করছি। কিন্তু একটি পক্ষ এসে আবার আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে। ১৭ বছর ধরে এই নির্যাতন সহ্য করেছি। আমি গুমের শিকার হয়েছিলাম কিন্তু দমে যাইনি। শেখ হাসিনা ও শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করেছি। আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হবে। এটা মোকাবেলা করার জন্য আমরা সবাই সর্তক থাকবো।
এতে উপস্থিত ছিলেন যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়নসহ সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিভাগের অধীন বিভিন্ন জেলার শীর্ষ নেতারা।