যুবদলে রনি নেই
অন্তকোন্দলে বিভক্তি দেখা দিয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের নয়া আহবায়ক কমিটিতে। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ১ সেপ্টেম্বর শোভাযাত্রায় অবস্থান নিয়ে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালন করেছে।আহবায়ক সাদেকুর রহমান ও যুগ্ম আহবায়ক খাইরুল ইসলাম সজিবের নেতৃত্বে এক গ্রুপ নটরডেম কলেজের সামনে থেকে শুরু করে। অন্যদিকে বিগত সময়ে আগলে রাখা যুবদলের আইকন জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি নেতাকর্মীদের নিয়ে বিশাল শোডাউন করে। ফলে জেলার বিভিন্ন ইউনিট থেকে দুর-দুরান্ত থেকে আগন্তক নেতাকর্মীদের কে কোন আয়োজনের অংশ নিবে এ নিয়ে দেখা দেয় অস্বস্তি। একটা পর্যায়ে উভয় নেতার আয়োজন সফলভাবে পালন হলেও জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনির কর্মী-সমর্থকদের উপস্থিতি বেশি লক্ষ্য করা গেছে।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন পর গঠিত জেলা যুবদলের আহবায়ক কমিটিতে বিভাজন দেখা গেলেও অনেকে এর কারিগর ভাবছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সোনারগাঁ বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান পুত্র খাইরুল ইসলাম সজিবকে।যুগ্ম আহবায়কের অহংকারী ও গুয়ামির কারণে যুবদলে বিভক্তি দেখা দিয়েছে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শোভাযাত্রায় ব্যানারে তিনজনের ছবি দিতে বললেও সজিবের পরিকল্পনায় পুরো শোডাউনে জেলা যুবদলের ব্যানারে শুধু সাদেক আর সজিবের ছবি ছিলো। যা ইতিমধ্যে নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
যুবদলের নেতারা বলছেন, নেতৃত্ব পাওয়ার পর জেলা শাখায় অন্যদের সাথে আলোচনা না করে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন সজিব। এমনকি সদস্য সচিবকেও মাইনাস করার চেষ্টা করছেন তিনি।যদি এরকমটা করে সজিব তাহলে যুবদলের নেতাকর্মী নিয়ে তাকে দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে।
যুবদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথে আলোচনা করে জানা গেছে, অতীতে যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনির নেতৃত্বে জেলা যুবদল শক্তিশালী ছিল। জেলা যুবদলের আহবায়ক গোলাম ফারুক খোকন জেলা বিএনপিতে যুক্ত হওয়ার পর থেকে জেলা যুবদলের মূল দায়িত্ব পড়ে সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনির উপর। তিনি একাই ওই সময়ে দলকে সামলিয়ে যান। গোলাম ফারুক খোকনের অনুপস্থিতি তিনি কাউকে টের পেতে দেননি। জেলা বিএনপির প্রত্যেকটি কর্মসূচিতে তার নেতৃত্বে বিপুলসংখ্যক যুবদলের নেতাকর্মী কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে আসতেন। রনির বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর অনুপ্রেরণা দিয়ে যায় জেলা যুবদলের অন্যান্য নেতাকর্মীদের।
এই মূহুত্বে হামলা, মামলা, নির্যাতন নিপিড়নে বিপর্যস্ত বিএনপির সহযোগী এ সংগঠনে বিভাজন দলকে আরও দুর্বল করে দেওয়াসহ স্থানীয় রাজনীতি প্রভাব ফেলবে।আগামী নির্বাচনের আগে এরকম কোন্দল দলের জন্য সুফল বয়ে আনবে না বলে মনে করছেন অনেকে। তাই এখনি খাইরুল সজিবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে আগামীতেও তিনি এহেন ধরনের কর্মকান্ডে লিপ্ত হবেন বলে মনে করেন যুবদলের নেতাকর্মীরা।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের তিন সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন কমিটির অনুমোদন দেন। নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের আহ্বায়ক পদে আছেন সাদেকুর রহমান সাদেক, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক খায়রুল ইসলাম সজীব ও সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি।