মাকসুদ চেয়ারম্যানের ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন সেলিম ওসমান
বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউপির চেয়ারম্যান মাকসুদের উদ্দেশ্য ক্ষোভ ঝেড়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি বীরমুক্তিযোদ্ধা একেএম সেলিম ওসমান।
শনিবার (৩০ মার্চ) ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে বন্দর উপজেলার জনপ্রতিনিধিবৃন্দ, আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি নেতৃবৃন্দের সাথে উন্নয়নমুলক মতবিনিময় সভা ও দোয়া মাহফিলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
জানা যায়, মুছাপুর ইউপির চেয়ারম্যান মাকসুদ আসন্ন বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী।
বক্তব্যে সেলিম ওসমান বলেন, মাকসুদ সাহেব আমি এতগুলো মানুষের সামনে আবার আপনাকে আমি বললাম আল্লাহর কাছে মাফ চান। এবং আপনার দায়িত্বে আপনি ফিরে আসেন। আমি আপনাকে কিছু বলব না। মনে রাখবেন আমরা মুক্তিযোদ্ধা। যদি ভালই ভালোই কথা শুনবেন তো শুনবেন না হলে মুগুর কিভাবে বানাতে হয় এটা আমি জানি। আপনি আগামীকাল থেকে উইথড্র করেন। ৪ জন চেয়ারম্যান যেভাবে আমার কথা শুনে এখানে এসেছেন আপনিও আসেন।
গুঞ্জন উঠেছে ভোট নিতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে টাকা দিচ্ছেন ভোটারদের মাকসুদ চেয়ারম্যান। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, আপনার এতটাকা কোথা থেকে হল মাকসুদ সাহেব। আপনি বাড়ি বাড়ি গিয়ে টাকা দেওয়া শুরু করেছেন। আমার কাছে হিসাব আছে প্রায় এ পর্যন্ত ৩ কোটি টাকা খরচ করেছেন। আমি বলে দিলাম আপনি সব কিছু ভুলে আসেন আমার ছেলের পরিচয় দিয়েন তারপরও আমি লাষ্ট অনুরোধ করবো ফিরে আসেন। আমি মাকসুদ হোসেন তোমাকে বলতে চাই ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে আসো।
সেলিম ওসমান বলেন, ওইদিন নাইরে নাতি খাবলাইয়া খাবলাইয়া খাবি। আপনি ভুলে যাবেন না বাংলার মানুষ আপনাদের ক্ষমা করবে না। যদি আপনি আপনার রাজাকার পরিচয়টা দেন। আপনি আমার সন্তানের মত থেকে চেয়ারম্যানের বাকি দিনগুলি শেষ করেন। আমি আপনাকে নিষেধ করলাম আমার ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমার মৃত্যু হলেও আপনাকে ছাড়বে না। আপনি কেন অনুমতি নিলেন না কেন আলোচনা করলেন না। আপনি উপজেলা চেয়ারম্যান হবেন।ওইদিন ভুলে যান।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বন্দর উপজেলার চেয়ারম্যান এম এ রশিদ, ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সানাউল্লাহ সানু, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধান, বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহম্মেদ, মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী সালামসহ নেতৃবৃন্দ।