সারাদেশ

মাকসুদের বাবা ও মুকুলের দাদা ছিলো রাজাকার: সাজনু

নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন ভূইয়া সাজনু বলেছেন, রশিদ ভাই উপজেলা চেয়ারম্যান হবার পর বন্দর উপজেলায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। ৫টি বছর স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের সহযোগিতা নিয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম করেছেন। কিছু উন্নয়ন বাকি আছে যা সমাপ্ত করতে পারেননি। আগামী ৮ই মে নির্বাচনে তাকে পুনরায় নির্বাচিত করে অসমাপ্ত কাজ করার সুযোগ করে দিবেন। 

রোববার (৫ মে) বন্দর ইউনিয়ন ৪ নং ওয়ার্ডে আয়োজিত এক উঠান বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি। বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ রশিদের বিজয় করার লক্ষ্যে এ নির্বাচনী উঠান বৈঠকের আয়োজন করা হয়।

সাজনু বলেন, এম এ রশিদ ভাইয়ের পক্ষে দুইজন প্রার্থি হয়েছেন। একজন মাকসুদ চেয়ারম্যান। মুনতাসীর মামুনের একটি বই আছে রাজাকারদের তালিকা। সেই তালিকায় তার বাবা রফিকের নাম আছে। আপনারা মুছাপুরে যান মাকসুদ চেয়ারম্যান ও তার ছেলে শুভ কি করে। সেখানে যে বালুর ব্যবসা হয় তা করতে গেলে প্রতি ফুটে তার সন্তান শুভকে টাকা দিতে হয়, জায়গা কিনতে গেলেও মাকসুদকে টাকা দিতে হয়, মাটির খোলায় স্কোয়ার ফিটেও টাকা দিতে হয়। মুছাপুরে গ্যাস দেওয়ার নাম করে এক একজনের কাছ থেকে সর্বনিম্ম ৭০ হাজার করে টাকা নিয়েছে মাকসুদ। সেই টাকা দিয়ে তারা নির্বাচন করছে। যদি নির্বাচিত হয় উন্নয়নের জন্য যে টাকা আসবে সে টাকাও তারা শোষন করে নিবে। 

সাজনু আরও বলেন, আরেকজন মুকুল ভাই; আমি তাকে সম্মান করতাম। পরপর দুইবার তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান হয়েছেন। এলাকার স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান অনেক বড় মনের মানুষ, তার সহযোহিতা নিয়ে মুকুল ভাই দুইবার উপজেলা চেয়ারম্যান হয়েছেন। সেলিম ভাই তার কাছে হাত জোড় করে অনুরোধ করেছেন রশিদ ভাইকে ছাঁড় দেও সে মুরব্বী হয়েছে। কিন্তু মুকুল ভাই তাকে ছাঁড় দেয়নি। তার দাদাও ছিলো রাজাকার, আপনারা খবর নিয়ে দেখেন। তারা আজকে বড় বড় কথা বলে। 

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এমএ রশিদ, বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক এম এ রাসেল, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সভাপতি জুয়েল হোসেনসহ আরও অনেকে। 

Back to top button