ভাই বোনের বাকযুদ্ধে উত্তাপ
নারায়ণগঞ্জের শব্দের সঙ্গে আইভি-শামীম ওসমানের বিরোধ শব্দটাও ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাদের দল একটা হলেও একজন ডানে গেলে অন্যজন বামে! কথার যুদ্ধে একজন অপর জনকে বেয়াদব সম্বোধন করতেও পিছপা হননি। এমনকি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারাও এ বিরোধের মীমাংসার চেষ্টা করেও সমাধান খুঁজে পাননি। আর নির্বাচন আসলেই সেই বিরোধে যেন ‘ঘি ঢেলে’ দেওয়া হয়!
সম্প্রতি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে তাদের বাকযুদ্ধ।রাজনৈতিক অঙ্গনেও চলছে এ উত্তেজনা। এ উত্তেজনা এখন নেতাকর্মীদের মাঝেও ছড়িয়ে পড়েছে।
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান গতকাল রাইফেল ক্লাবে এক সভায় মেয়র আইভীর নাম উল্লেখ না করলেও তাকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, অনেকে বলেন দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে আপনাদের জন্য কাজ করছি। সরি আপনার কাজ যখন প্রতিক নিয়ে করবেন তখন দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে করতে পারেন না। আপনাকে এবং আপনার দলকে নিজস্ব করতে হবে। প্রত্যেকটা মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য যখন নিজস্ব করে তখন আপনাকেও নিজস্ব করতে হবে। কে কিভাবে পাস করছেন রাজনীতি যখন ছেড়ে দিবো তখন দেখিয়ে দিবো। জানি আমি সব কিছু।
এর আগে ১১ সেপ্টেম্বর নাসিকের বাজেট অনুষ্ঠানে মেয়র আইভী শামীম ওসমানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ফুটপাথ তো আমরা বানিয়েছি মানুষজন চলাচল করার জন্য। কিন্তু এ ফুটপাথ হকারমুক্ত করতে গিয়ে আমাদের ওপর হামলা হয়েছে। আমাদের নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য উনি প্রকাশ্যে যেভাবে হকারদের অর্ডার দেন ফুটপাথে হকাররা বসবেই। প্রেস ক্লাব অসহায় কি না আমি তা জানি না। কিন্তু আমি অসহায়। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি আমাকে পিটিয়েছিল, রাস্তায় ফেলে পিটিয়েছিল। এ দিন অল্পের জন্য আমি বেঁচে গিয়েছিলাম। সাংবাদিকরা আহত হলেন।
দলের নেতারা বলছেন, শামীম-আইভী দ্বন্দ্ব বহু পুরনো। জাতীয় নির্বাচনের আগে তা পুনঃপ্রকাশ ঘটছে। তাদের এই দ্বন্দ্বের অবসান ঘটবে না বলে মনে করেন তারা।