সারাদেশ

বিএনপি নেতা আটক, পরে মুক্ত

নারায়ণগঞ্জে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানসহ ৫জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটকরা হলেন- মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহীদুল ইসলাম টিটু, সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার প্রধান, যুবদল নেতা সাগর প্রধান ও আরও একজন।

২৯ জুলাই দুপুরে তাদেরকে আটক করা হয়। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানকে ছেড়ে দেয়। তবে,অন্যান্যদেরও ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সাখাওয়াত।

কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসুচির অংশ হিসেবে শনিবার (২৯ জুলাই) সকাল থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা শিমরাইল ডাচবাংলা ব্যাংক এলাকায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে। কিন্ত পুলিশের বাধায় তারা মহাসড়কে উঠতে পারেনি। ফলে পুলিশের ব্যারিকেডের মধ্যেই তারা সরকার বিরোধী নানা শ্লোগান দিতে থাকে।এক পর্যায়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের বাঁধা অতিক্রম করে মহাসড়কে অবস্থান নিতে চাইলে পুলিশ বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে ডাচবাংলা ব্যাংক এলাকায় লাঠিচার্জ করে। পাল্টা বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। পরে পুলিশের সর্টগানের গুলির কাছে টিকতে না পেরে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় বিএনপির নেতাকর্মীরা। এসময় পুলিশ ছোড়া সর্টগানের গুলিতে বিএনপি’র ১০নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে। পরে পুলিশ সাখাওাতসহ ৫ জনকে আটক করে।

মুক্ত হয়ে সাখাওয়াত বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশ কোনো কারণ ছাড়াই লাঠিচার্জ ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে, গুলি করে। আমাদের বহু নেতাকর্মী এতে আহত হন। আমাকেও মারধর করে পুলিশ। পরে আমিসহ ৫ জনকে আটক করে নিয়ে আসলেও এখন ছেড়ে দিয়েছে। বাকিদেরও ছেড়ে দেবে বলে পুলিশ বলেছে।

Back to top button