সারাদেশ

ফতুল্লায় বকেয়া বিদ্যুৎ বিল ৯০ লাখ টাকা : শামীম ওসমান

ফতুল্লার লালপুরের মানুষের কিছু ব্যর্থতা আছে। সেটা হচ্ছে রাস্তা লেভেল উচু, জায়গা নিচু। সেই কারণে প্রায় তিন লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছে। গতবার জেলা পরিষদের সহায়তায় আমরা এখানে তিনটা পাম্প বসিয়েছিলাম। এবং এখানে একটা ট্রান্সফর্মার ছিলো। এটাকে খুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঝড়ের কারণে এবার প্রচুর পানি জমে গেছে। এ জন্য আমি দু:খিত ও লজ্জিত। 

বুধবার (২৯ মে) বিকেলে ফতুল্লা লালপুর পৌষাপুকুর এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান এ কথা বলেন।

এলজিডি জলাবদ্ধতা নিরসণে ব্যর্থ কিনা এমন প্রশ্নে সংসদ বলেন, এলজিডিতে আমরা প্রজেক্ট দিয়েছি। আমি বলবো তারা ব্যর্থ না। এলজিডি মন্ত্রী যিনি আছেন তিনি অত্যন্ত সুদক্ষ। উনি চান বাংলাদেশে কাজগুলো হোক। নিচের লেভেল থেকে এখন পযর্ন্ত প্রজেক্টটা পৌছায়নি। আমার দৃঢ়বিশ্বাস, এই প্রজেক্টটা যদি উনার কাছে পৌছায় কাজ দ্রুত করবে। 

শামীম ওসমান বলেন, ফতুল্লায় কিছু বিদ্যুৎ এর বিল বাকি পড়ে গেছে। আজকের না প্রায় ১৫-২০ বছরের বিল। ৯০ লাখ টাকা বকেয়া বিল পায়, যা পরিশোধ করা হয় নাই। বিদ্যুৎ মন্ত্রী আমাদের নারায়ণগঞ্জের সন্তান। এখানে একটা ট্রান্সফর্মার লাগবে আমি ব্যাক্তিগত ভাবে কিনে দিবো। ছোট ব্যাপারে আমি তাকে বিরক্ত করবো না। যদি আগামীকালের মধ্যে ট্রান্সফর্মার কিনতে পারি, তাহলে ২/১ দিনের মধ্যে যত পানিই থাকুক না কেন, বের করতে পারবো।

পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু চন্দনশীল, ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফাইজুল ইসলাম, বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম শওকত আলী, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল, সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও জেলা যুবলীগ নেতা এহসানুল হাসান নিপুসহ প্রমুখ।

Back to top button