সারাদেশ

প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের পরিক্ষা আটকে দেয়ার অভিযোগ

বকেয়া বেতন পরিশোধ না করায় নবীগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১০ম শ্রেনীর এসএসসি পরীক্ষার প্রাক নির্বাচনী পরীক্ষার অনেক শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে পরিক্ষা আটকে দেয়ার অভিযোগ তুলে অভিভাবকরা।

অভিবাবকরা জানান, নবীগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের ১০ম শ্রেনীর ছাত্রীদের এসএসসি পরীক্ষার প্রাক নির্বাচনী পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ চলতি অক্টোবর, আগামী নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসের বেতন এবং কোচিংয়ের জন্য অগ্রীম ৩ হাজার টাকা দাবি করে। যারা এ টাকা পরিশোধ করতে পারেনি সে সকল শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার হল থেকে অপমান করে হাত থেকে পরীক্ষার খাতা ও প্রশ্নপত্র রেখে হল থেকে বাইরে বের করে দেয়।

অভিভাবক মাধবী জানান, দেশে দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতির কারনে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। তার উপর স্কুলের দাবিকৃত অতিরিক্ত টাকা দিতে না পারায় আমার মেয়েকে পরীক্ষার হল থেকে প্রশ্নপত্র ও খাতা রেখে বের করে দেয়।

এ অভিযোগ পাওয়ার পর নবীগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক সায়মা খানম বলেন, গত বৃহস্পতিবার টাকা পরিশোধের জন্য নোটিশ দিয়েছে। কারণ বকেয়া পরিশোধ না করলে তো শিক্ষকদের বেতন দেয়া সম্ভব না। কিন্তু শিক্ষার্থীরা টাকা নিয়ে আসে নাই। তাই শিক্ষকরা রাগ করে তাদের পরীক্ষা দিতে দেয়নি। পরে অনেক অভিবাবকরা আমার কাছে আসছিলো আমার কাছে অভিযোগ করেন। পরে আমি স্যারদের বুঝিয়েছি পরীক্ষা দিতে দেয়ার জন্য। আমি অভিবাবকদের বলেছি আপনারা বেতন না দিলে কিভাবে স্যারদের বেতন দেই বলেন। পরে বললাম আপনারা বকেয়া দিয়ে দিয়েন, আর পরীক্ষা দিতে বলে দিচ্ছি।

এ ব্যপারে স্কুলের সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল বলেন, আমি বিষয়টি জানার পর শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা করেছি। প্রধান শিক্ষক অভিভাবকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশ গ্রহনের ব্যবস্থা করেছে।

 

 

Back to top button