পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ: দুই ছেলে গিয়াসসহ আসামী ৪২৩
রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সব প্রবেশমুখে কেন্দ্র ঘোষিত বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গতকাল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল মোড়ে পুলিশ-বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যকার সংঘর্ষের ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ৪২৩ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ৭ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মামলায় নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াসউদ্দিন ও তার দুই ছেলে কাউন্সিলর সাদরিল, কৃষক দল নেতা রিফাতকেও এজাহারভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগরেরও নামও রয়েছে এজাহারে।
রোববার (৩০ জুলাই) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুমিনুল হক বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলার বিষয়টি বিকালে নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার (ওসি) গোলাম মোস্তফা।
গ্রেফতার হওয়া নেতাকর্মীরা হলেন, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এইচ এম আনোয়ার প্রধান (৪৭), সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সদস্য মোঃ জসিম উদ্দিন (৪০), (নাসিক) ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির প্রচার সম্পাদক মোঃ ফারুক (৪৫), নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহব্বায়ক সাগর প্রধান (৪২), সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সদস্য ইউসুফ আলী (৬০), গজারিয়া থানার ছাত্রদলের সভাপতি মাহাদী ইসলাম বাবু(৩৫), মুন্সিগঞ্জ থানা ছাত্রদলের সভাপতি মোঃ আবুল হাসেম (৩৪)।
এজাহার থেকে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এইচ এম আনোয়ার প্রধানকে প্রধান আসামি করে এবং এজাহারনামীয় আরও ২২ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। উক্ত মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ৩০০/৪০০ জনকে।
মামলার অভিযোগসূত্রে জানা যায়, বেআইনী জনতাবদ্ধে সরকারি কাজে বাধা দেয়া, অন্যায় ভাবে বল প্রয়োগ, পুলিশকে আঘাত করে হত্যার উদ্দেশ্যে সাধারন ও গুরুতর জখম করতে বিশ্বফোরন ঘটানো ও হুকুম প্রদানের অপরাধ আনা হয়েছে।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান, এ ঘটনায় আজ দুপুরে থানায় একটি মামলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৭ আসামিকে গ্রেফতার হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।