সারাদেশ

কুতুবপুর ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি বয়সের ভারে ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে: মিন্টু ভূইয়া 

ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের কার্যকরি সদস্য ও কুতুবপুর ইউনিয়ন ১,২ ও ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং  ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-১ আল মামুন মিন্টু ভূইয়া বলেন, কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি যিনি কিনা খুব অল্প টাকায় মানুষের কাছে বিক্রি হয়ে যারতার নামে বদনাম করে কিছুদিন আবার টাকার বিনিময়েই তার নামে সুনাম করে এমন চরিত্রহীন নেতা কখনো দেখিনি তিনি মনে হয় বয়সের ভারে ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে তাই চেয়ারম্যান সাহেব ও আমার নামে যা খুশি তাই বলছে। 

গত শনিবার (২৮ জুলাই) বিকালে কুতুবপুরের চিতাশালে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মীসভায় জসিম উদ্দিন বক্তব্যের সত্যতা জানতে চাইলে মুঠো ফোনের মাধ্যমে তিনি এ-সব কথা বলেন। 

এসময় আওয়ামী লীগ নেতা মিন্টু ভূইয়া আরও বলেন, জসিম উদ্দিন সাহেব বয়সের ভারে ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছেন পুরোপুরি তাই যখন খুশি তখন মনগড়া বক্তব্য দিচ্ছে এবং সম্মানিত ব্যক্তিদের নামে মিথ্যা কথা বলে তাদের সম্মান ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করছে। উনি যেই বক্তব্য দিয়েছে তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা নাশকতা কেনো করবো ১৮ জুলাই রাতে দূর্বৃত্তরা আমার বাড়িতে হামলার চেষ্টা চালায় আমি লোকজন নিয়ে লাঠিসোঁটা নিয়ে দৌড়ানি দেয় তাদের। কিন্তু পরের দিন ১৯ জুলাই শুক্রবার দুপুরের পরে হঠাৎ আমার বাড়ি ও অফিসে হামলা চালায় দূর্বৃত্তরা এসময় আমার বভনে থাকা ডাচ বাংলা ব্যাংক ও একটি ইংলিশ মিডিয়াম কিন্ডারগার্টেন স্কুল সহ আমার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমি প্রথম দিন দূর্বৃত্তদের প্রতিরোধ করতে পারলেও পরের দিন হঠাৎ হামলা চালিয়ে আমার বাড়ি ঘর ভাংচুর করে। যেখানে নাশকতাকারীরা আমার নিজের বাড়ি ও অফিস ভাংচুর করে সেখানে কিভাবে মিথ্যা বক্তব্য দেয় যে আমরা নাশকতার সাথে জরিত এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট মনগড়া কথা আমি এর বিচার চাই। 

মিন্টু ভূইয়া আরও বলেন, কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ ব্যবহার করে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নেতাকর্মীদের কাছ থেকে চাঁদা চেয়ে থাকেন তারি ধারাবাহিকতায় বেশ কিছু দিন আগে চেয়ারম্যানের অফিসে বসে ব্যবসার কথা বলে আমার কাছ থেকে ২ লক্ষ্য টাকা এক সপ্তাহের কথা বলে ধার নিয়েছিলো পরে সাপ্তাহ পার হয়ে কয়েক মাস চলে যায় কিন্তু টাকা দেয় না। অনেকবার চাওয়ার পর এক লাখ টাকা ফেরত দেয়, বাকি এক লাখ টাকা বছর ঘুরে যায় তবুও ফেরত দেয় না। পরবর্তীতে আর এক লাখ টাকা দেওয়ার কোন নাম থাকে না ওই এক লাখ টাকা আমি যখন দেখি যে চাইতে চাইতে লজ্জিত হয়ে পরছি ঠিক ওই সময় শাহ নিজাম ভাইয়ের সহকারী  আমার ছোট ভাই ফারুক ব্যবসায়িক কাজে আমার কাছে এক লাখ টাকা ধার চায় আমি তাকে বলি যে ফারুক আমার কাছে ক্যাশ টাকা নেই তুমি আপাতত জসিম ভাইয়ের কাছে যে এক লাখ টাকা আমি পাই এটা তুমি নিয়ে নাও তুমি আমাকে পরে দিয়ও আস্তে আস্তে পরে ফারুক দাশ হাজার, বিশ হাজার, করে নিয়েছে তখন জসিম উদ্দিন সাহেব আমার উপর রাগ হয়েছেন।

তাছাড়া ইউপি নির্বাচনের পর মেম্বারদের ভোটে প্যানেল চেয়ারম্যান নির্ধারণ করা হয় ওই সময় জসিম উদ্দিন তার ভাই ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার রোকন উদ্দিনের জন্য আমার কাছে রিকুয়েষ্ট নিয়ে আসে আমি যেনো ১ নাম্বার প্যানেল চেয়ারম্যানের পদটি ছেড়ে দেয়। আমি বলেছি এখানে আমার কিছু করার নাই এটা মেম্বাররা ভোট দিয়ে নির্ধারিত করবে এই কারণেই আমার ও চেয়ারম্যানের উপর রাগ জসিম উদ্দিন সাহেবের। তার এই ব্যক্তিগত রাগের ক্ষোভ রাজনৈতিক ভাবে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় মিথ্যা কথা বলে আমার ও চেয়ারম্যানের মানসম্মান ক্ষুন্ন করছে। আমি এই বিষয়ে থানা আওয়ামী লীগ সহ উপরের স্তরের নেতাকর্মীদের জানিয়েছি আমি জসিম উদ্দিন সাহেবের বক্তব্যে যে কথা গুলো বলছে তার সুস্পষ্ট প্রমাণ চাই এবং তার বক্তব্য তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। থানা আওয়ামী লীগ আমাকে জানিয়েছেন এটা সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে সত্য প্রকাশ করা হবে এবং যদি জসিম উদ্দিনের বক্তব্য মিথ্যা হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মিন্টু ভূইয়া আরও বলেন, জসিম উদ্দিন যখন বেফাঁস বক্তব্য দেয় তক্ষনি তাৎক্ষণিকভাবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা ফতুল্লা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ইসহাক সহ অনেকেই নাকি জসিম উদ্দিনকে বলেছেন আপনি এমন উল্টা পাল্টা কথা কেনো বলেন, আপনি নিজেদের মধ্যে একটা বিবাদ সৃষ্টি কেনো করছেন। 

এবিষয়ে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত চেয়ারম্যান বলেন, আমি বক্তব্যের কথা শুনেছি সম্মানিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এমন বক্তব্য দেওয়ার বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে হবে। তদন্তের মাধ্যমে যদি জসিম উদ্দিন প্রমাণ করতে পারে তার কথা সত্যি তাহলে বিষয়টি শামীম ওসমান’কে জানানো হবে আর যদি প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয় তাহলে জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

জসিম উদ্দিনের বক্তব্য প্রধানকালে উপস্থিত থাকা ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের কার্সকরি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বলেন, জসিম ভাইয়ের সাথে সেই অনুষ্ঠানে আমিও উপস্থিত ছিলাম তবে উনার বক্তব্যের সাথে আমি ঘটনার মিল পাইনি এটা তার ব্যক্তিগত বক্তব্য হতে পারে বাকিটা যাচাই বাঁচাই করলে জানতে পারবো। তবে এবিষয়ে কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মানিক চাঁন কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি তারা বলেছেন এখন কিছু বলতে পারছি না পরে কথা বলবো। 

Back to top button