কুতুবপুরে গরুর হাটের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে ব্যস্ত আ.লীগ নেতারা ভুলেগেছে দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী
কুতুবপুরে গরুর হাটের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে ব্যস্ত আ.লীগ নেতারা ভুলেগেছে দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী
স্টাফ রিপোর্টার (Somoysokal) এবার গরুর হাটে ভালো ব্যবসা হয়ায় কুতুবপুরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা গরুর হাটের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে ব্যস্ত থাকায় দলের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী (প্লাটিনাম জয়ন্তী) ভুলে গেছেন। যার জন্য আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকর্মীরা গত ২৩ জুন দলের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করেনি।
যদিও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্র থেকে ১০ দফা কর্মসূচী দিয়েছিলো এবং যার যার এলাকায় তৃনমুল পর্যায়ে পালন করার নির্দেশ দিয়েছিলো। তবে এনির্দেশ অন্যান্য অঞ্চলে পালন করলেও নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা থানার আওতাধীন কুতুবপুর ইউনিয়নে পালন করা হয়নি।
এবিষয়ে কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জসিমউদ্দিনের কাছে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি অনেক ঝামেলায় আছি তাই আজ ২৩ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কোনো কর্মসূচি পালন করতে পারিনি তবে আগামীকাল করতে পারি। কিন্তু পরে খবর নিয়ে দেখা যায় আগামীকালও কোনো কিছু করেনি।
একই বিষয়ে কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মানিক চাঁনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি দেলপাড়ায় একটা প্রোগ্রামে গিয়েছিলাম আরও একজায়গায় যাওয়ার কথা ছিলো কিন্তু যেতে পারি নাই শরীর অসুস্থ। কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ব্যানারে কোনো কর্মসূচি পালন করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, না ইউনিয়নের ব্যানারে কোনো কর্মসূচি হয়নি কিন্তু দুই-একজন যারা করছে তারা তো আমাদেরই লোক।
এবিষয়ে সরজমিনে খোঁজ খবর নিয়ে দেখা গেছে ২৩ জুন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে দুই থেকে তিন কর্মী কেক কেটে উদযাপন করেছে। তার মধ্যে একজন ওয়ার্ড পর্যায়ের আওয়ামী লীগ নেতা আলমগীর হোসেন আরেকজন ছাত্রলীগ নেতা মোহাম্মদ জসিম আকবর এবং অন্য একজন শ্রমিক লীগ নেতা রাজ্জাক।
কুতুবপুর ইউনিয়নে ২৩ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন না-করার বিষয়ে একজন প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতার কাছে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শর্তে তিনি বলেন, এখন যারা আওয়ামী লীগ করে তারা মুখে মুখে আওয়ামী লীগ করে তারা দলটাকে বিক্রি করে যে যার মতো অর্থ সম্পদ গড়ে নিচ্ছে। তারা কি বোঝে একটা দলে ৭৫ বছর প্লাটিনাম জয়ন্তী কি? তারা তো নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত দল নিয়ে নয়। তারা ইহতো জানে না এই আওয়ামী লীগের হাত ধরেই বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিলো। এই আওয়ামী লীগের অনেক ইতিহাস আছে এটা হইতো অনেকে জানে না। এক সময় আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে কোনো নেতাকর্মী খুঁজে পাইতাম না এখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় তাই সবাই এখন আওয়ামী লীগ নেতা হয়ে গেছে। এগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই হাইব্রিড নেতা, এই হাইব্রিড নেতাদের ভীড়ে ত্যাগি নেতারা আসতে চায় না তাই বর্তমানে ত্যাগি নেতারা নিরবে দলের জন্য কষ্ট পায় তবুও হাইব্রিড সাথে আসে না। প্রকৃত আওয়ামী লীগ নেতারা হাইব্রিডদের ভিড়ে পিছিয়ে গেছে।