সারাদেশ

আলোচনায় গিয়াস মামুন শাহ আলম ও রাজিবের নাম

জাতীয় সংসদের নারায়ণগঞ্জ-৪ (সিদ্বিরগঞ্জ-ফতুল্লা) আসনটি জেলার মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আসন। এই আসনটি বিএনপির দুর্গ হিসেবে পরিচিত। সবকিছু ঠিক থাকলে আগষ্টের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে পারে অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ফলে এ আসনে বইছে ভোটের হাওয়া।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা ব্যানার ফেস্টুন লাগিয়ে জানান দিচ্ছেন তারা এ আসনে এমপি পদপ্রার্থী। এমনকি সম্প্রতি সভা সমাবেশে ভোটারদের মাঝে নিজেদের জনপ্রিয়তা প্রমাণে নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।

দীর্ঘদিন ভোট বঞ্চিত মানুষ এবারের নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন। তাই আসন্ন নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়ে উঠবে বলে স্থানীয় সাধারণ ভোটারদের ধারণা। কিন্তু এ আসনে ২০১৪ সাল থেকে ভোটারবিহীন নির্বাচনে এমপি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। গনঅভ্যুথানের পর পালিয়ে বর্তমানে তিনি পরিবার নিয়ে দুবাই অবস্থান করছেন। এ ছাড়াও তার অনুসারীরা পলাতক রয়েছেন। 

নারায়ণগঞ্জ-৪ (সিদ্বিরগঞ্জ-ফতুল্লা) আসনে সবার মুখে আলোচনায় আছেন সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন। ২০০১ সালে শামীম ওসমানকে হারিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি আসনে বিএনপিকে নির্বাচিত করার জন্য মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। দলের হাইকমান্ডের গুডবুকে রয়েছেন তিনি। আসন্ন নির্বাচনে দল তাকে মনোনয়ন দিবে বলে প্রত্যাশা করেন। 

গিয়াসউদ্দিন ছাড়াও আলোচনায় রয়েছেন বর্তমান নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ। কারও কারও মতে, এবার তরুন কোন রাজনীতিকবীদকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে। মনোনয়ন পেতে পারেন বর্তমান নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব। বিএনপি নেতা শাহ আলমের নামও আলোচনায় আছে। 

দলের প্রার্থীরা বলছেন, দল যাকে মনোনয়ন দিবে আমরা তার পক্ষে ধানের শীষ মার্কায় নির্বাচন করব। যদিও বিএনপির হাইকমান্ড এখনো এই আসনে কাউকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেয়নি। তবে বিএনপির নেতারা সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য দলের সমর্থন পেতে লবিং তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন। তারপরও এ আসনে বিএনপির গিয়াসউদ্দিন একবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর এলাকায় সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন করেছেন। তার আমলে এলাকায় পুল-কালবার্ট, রাস্তা-ঘাট, স্কুল-কলেজ, মাদরাসা, মক্তব, মসজিদ, হিন্দুদের মন্দির-গ্রীর্জা, সামাজিক ও সাংকৃতিক বিভিন্ন সংগঠনসহ পুরো নির্বাচনি এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।

আওয়ামী লীগবিহীন রাজনৈতিক ময়দানে নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটার ও সমর্থকদের মধ্যে আলোচনায় ও যাদের নাম শুনা যাচ্ছে তাদের নিয়ে এই আসনের বিভিন্ন হাট-বাজার এবং গ্রামের চা-দোকানসহ বিভিন্ন স্থানে আলোচনা-সমালোচনা অব্যাহত রয়েছে।

Leave a Reply

Back to top button