কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে পরিস্কার হলো ফতুল্লা থানা বিএনপি দ্বিধা বিবক্ত
কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে পরিস্কার হলো ফতুল্লা থানা বিএনপি দ্বিধা বিবক্ত
স্টাফ রিপোর্টার (Somoysokal) নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা থানার আওতাধীন রয়েছে ৫টি ইউনিয়ন। কুতুবপুর, কাশিপুর, বক্তাবলি, এনায়েতনগর ও ফতুল্লা ইউনিয়নকে নিয়ে একটি বৃহত্তর থানা ফতুল্লা। এই ফতুল্লা থানা বিএনপি বিগত দিনে সরকার পতনের আন্দোলন সংগ্রামে বেশ ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু বর্তমানে ফতুল্লা থানা বিএনপির মাঝে দ্বিধা বিভক্ত দেখা দিয়েছে। দলের মধ্যে যদি দ্বিধা বিভক্ত থাকে তাহলে সেই দল কখনোই শক্তিশালী হতে পারে না। আজ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে পানির মতো পরিস্কার হয়ে গেলো ফতুল্লা থানা বিএনপি দ্বিধা বিভক্তে রয়েছে। এর ব্যাখা হলো দলে জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে আজ প্রায় অন্ধ হওয়ার অবস্থায় ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু। তাকে দেখতে ও খোঁজ খবর নিতে আসেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা আর ফতুল্লা থানার আওতাধীন ৪টি ইউনিয়নের সভাপতি-সেক্রেটারী কেউ উপস্থিত নেই এমনকি থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড. বারি ভূইয়া ও সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ চৌধুরীরও উপস্থিত নেই কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে। এই বিষয়টি কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে পরিস্কার হলো যে ফতুল্লা থানা বিএনপির মধ্যে দ্বিধা বিভক্ত রয়েছে। সামনে আন্দোলন সংগ্রামে এই দ্বিধা বিভক্তের কারণে দল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
সরজমিনে দেখা যায় সারা দেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা থানায়ও বিএনপির নেতাকর্মীরা আন্দোলন সংগ্রামের পথে। সেই ধারাবাহিকতায় ফতুল্লা থানার প্রতিটি ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীরা সক্রিয় ছিলো কিন্তু থানা বিএনপির সভাপতি দলের জন্য রাজপথে থেকে গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন আছে। এই সময় মাঠে নেই ফতুল্লা থানার আওতাধীন ইউনিয়ন গুলোর সভাপতি-সেক্রেটারি ও অন্যান্য নেতাকর্মীরা। গত কয়েকদিন আগে কুতুবপুর ইউনিয়নের ভূইঘর এলাকায় ফতুল্লা থানা বিএনপির উদ্যোগে গুলিবিদ্ধ টিটুর সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল আয়োজন করা হয়। সেখানে ফতুল্লা থানার পাঁচটি ইউনিয়নের সভাপতি-সেক্রেটারিসহ সকলকে দাওয়াত দেওয়া হয়। এসময় সিনিয়র সিনিয়র অনেক নেতার নাম ব্যানারে উল্লেখ করা হয় এই নামগুলো নাকি তাদের জিজ্ঞেস করেই উল্লেখ করা হয়েছিলো তবুও সেই দিন থানার ৫টি ইউনিয়নের সভাপতি-সেক্রেটারি উপস্থিত ছিলেন না। ইউনিয়ন পর্যায় থেকে শুধু কুতুবপুর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার উপস্থিত ছিলেন। এই বিষয়টি পরবর্তীতে থানা বিএনপির নেতাকর্মীরা বক্তব্যের মাধ্যমে ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি গুলিবিদ্ধ টিটুর শারীরিক খোঁজ খবর নিতে আসেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এড. আব্দুস সালাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটু, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভূইয়া, জেলা বিএনপির সাধারণত সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন, জেলা বিএনপি নেতা লুৎফর রহমান খোকা, মাসুকুল ইসলাম রাজিব, মোশারফ হোসেন, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি, ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সুলতান মাহমুদ মোল্লা, সহ-সভাপতি হাজী শহীদুল্লাহ্,ফতুল্লা থানা শ্রমিক দলের সভাপতি মো. বাবুল আহমেদ, কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বিল্লাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।