মুক্তিযোদ্ধা পরিবারে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা
সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল চৌধুরীবাড়ি বৌ-বাজার এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের একটি জমি দখলকে কেন্দ্র করে হামলাকারীদের আদালতে সিআর মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীরা। মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) মো. সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে আদালতে মামলাটি (সিআর মামলা নং /২০২২) দায়ের করেন। মামলায় ১৬ জনকে নামীয় আসামী করা হয়। তারা হলো- শাহাবুদ্দিন হাওলাদার (৫৫), আঃ রব মিয়া (৫৮), মো. মহসিন ভুইয়া (৫২), হাবিব (৩২), কালাম ভুইয়া (৩০), বাপ্পি মাদবর (৩২), সপ্নীল (৫৫), শাহআলম (৫২), কালা সিয়াম (২৬), রাব্বি (২৩), আল-আমিন (৩০), আরিফ (৩১), রনি (২৫), মুন্না (৩০), ফজল মিয়া (৫০) ও শাহজাহান মাদবর (৫০)। এছাড়া অজ্ঞাত আরো ১০/১২ জনকে আসামী করা হয়।
মামলায় ভুক্তভোগী সিরাজুল উল্লেখ করেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে আসামীরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাদের বসত-ঘরে অনধিকার প্রবেশ পূর্বক চাঁদা দাবি, হামলা, ভাঙচুর, জিনিসপত্র ক্ষতি সাধন, মারধর, রক্তাক্ত জখম, শ্লীলতাহানী, হত্যা চেষ্টা, ভয়ভীতি ও প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করে। এছাড়া আসামীরা নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে গেছে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার (১৬ জুলাই) সকালে সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল চৌধুুরীবাড়ি বৌ-বাজার এলাকায় র্যাব ও পুলিশের উপস্থিতিতে একটি বাড়িতে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে বিরোধপূর্ণ জমি দখলের চেষ্টা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও নীরব ভুমিকা পালন করে বলে ভুক্তভোগীরা জানায়। এসময় হামলাকারীরা বিরোধপূর্ণ জমিতে থাকা দুটি বসতঘর ভাংচুর করে এবং ঘরে থাকা সকল আসবাবপত্র রাস্তায় ফেলে দেয়। হামলায় আলমগীর, সাইফুল, সজীব সিদ্দিকী, বিদ্যুৎ ও এ.এইচ.এম মাহবুব নামে পাঁচজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে আলমগীরকে অবস্থা আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত শনিবার ৪০/৫০ জনের মত লোকজন এসে ভুক্তভোগীদের বসত-ঘরে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এসময় র্যাব ও পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলেও হামলাকারীরা তাদেরকে তোয়াক্কা না করে তান্ডব চালিয়ে যায়। আইনশৃংখলা বাহিনীও নীরব ভুমিকা পালন করে। এতে করে তারা আতঙ্ক নিয়ে বসবাস করছে। তাদের মতে জমির মালিকানা নিয়ে দ্রুত সমাধান না হলে বড় ধরণের নাশকতা এমনকি প্রানহানীও ঘটতে পারে।
জানা যায়, জমির মালিকানা দাবি করা শাহাবু্িদ্দন ওই এলাকার প্রভাবশালী রব প্রভাবশালীদের প্রভাব দেখিয়ে সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা ওই জমি দখল করতে মরিয়া হয়ে পড়ে শাহাবুদ্দিন। এরপর থেকে একের পর এক বিভিন্ন কৌশল ও দফায় দফায় হামলা চালিয়ে ওই জমিতে ভোগদখলকারীদের উচ্ছেদ করার ব্যর্থ চেষ্টা চালাচ্ছে। তাদের এমন কর্মকান্ডে আশেপারেশর সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত ও ভীত। এলাকার শান্তি-শৃংখলা বজায় রাখা ও নির্বিঘ্নে বসবাস করতে এলাকাবাসী আইনশৃংখলাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
এলাকাবাসী জানায়, অভিযুক্ত আঃ রব মিয়া ২০০০ সাল থেকে মানুষের জায়গা-জমি দখল করে নেওয়ার অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়া তার একাধিক মামলা রয়েছে। তার পালিত সন্ত্রাসীদের দিয়ে এলাকায় নানা এসব অপকর্ম করে ত্রাসের রাজত্ব গড়ে তুলেছে।