বাড়ির সামনে কাফনের কাপড় বাধ্য হয়ে নির্বাচন থেকে সরে গেলেন লিটু
স্টাফ রিপোর্টার (Somoysokal) প্রার্থী হয়ে নির্বাচন থেকে সড়ে যাওয়ার ঘটনা নতুন নয়। নারায়ণগঞ্জেও একের পর এক ঘটে চলছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনগুলোতে। বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে ঘটেছে এমন ঘটনা। কখনো ভয়ভীতি ও অপপ্রচারের অভিযোগ তুলে অনেক প্রার্থী সড়ে গেছেন নির্বাচনের আগ মূহুর্ত্বে। যার ফলে অনেক প্রার্থীই নির্বাচিত হয়েছেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়।
আসন্ন নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ মোগড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভয়ভীতির অভিযোগ তুলে নির্বাচন থেকে সড়ে দাড়ানোর ঘোষনা দিয়েছেন জাতীয়পার্টির নেতা কাজী নাজমুল ইসলাম লিটু। সে জেলা জাতীয় যুব সংহতির যুগ্ম আহবায়ক। গত ১২ মে উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে স্বতন্ত্র পদে মনোনয়নপত্র ক্রয় করেছিলেন তিনি।
১৭ মে নিজের ফেসবুক আইডিতে স্থানীয় মুরব্বি ও এলাকার গনমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে
মায়ের নির্দেশে নির্বাচন থেকে সড়ে দাড়ানোর ঘোষনা দেন তিনি। তার অভিযোগ, পরিবারকে দূর্বল করতে ভয়ভীতি দেখানোর জন্য প্রতিপক্ষের কেউ তার বাড়ির দরজার সামনে কাফনের কাপড় রেখে গেছেন। যার ফলে তার মায়ের ও এলাকার মুরুব্বিদের নির্দেশে নির্বাচন থেকে সড়ে দাড়িয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘লিটু কখনো ভয় পায় না আল্লাহকে ছাড়া। বিগত দিনে সেটা বারবার প্রমানিত হয়েছে। আমি হামলা মামলাকে ভয় পাই না। আমি ব্যক্তিগত ভাবে ভয় পায় না বলে তারা একটি কৌশল অবলম্বন করেছে। তৃতীয় পক্ষ এ খেলাটা খেলছে। তারা আমাকে ভয় না দেখিয়ে কৌশলটা অবলম্বন করেছে আমার পরিবার যেনো ভয় পায়। এ কাফনের কাপড়টা পাঠানোর উদ্দেশ্য হলো আমার মা’কে দূর্বল করা।’
মোগড়াপাড়ার বেশ কয়েকটি এলাকায় তার বিরুদ্ধে কিছু কুচক্রী মহল অপপ্রচার চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেনও তিনি। লিটু বলেন, আমাকে নাকি ৩০-৪০ লাখ টাকা দিয়ে বসিয়ে দেওয়া হবে। আমি যদি মনোনয়ন জমা দিয়ে প্রতিক পেয়ে যাই তাহলে মুরব্বিদের বুজাতে পারবো না আমি লেনদেনের মাধ্যমে সড়ে আসেনি। মনোনয়ন কেনার মতো টাকা অনেকের হয়েছে কিন্তু লিটুকে কেনার মতো টাকা কারো হয়নি। নিজেকে বিক্রি করবো এই চিন্তা আমি কখনো করি না।
উল্লেখ্য, ৮ম ধাপে আগামী ১৫ জুন মোগড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট হবে। নির্বাচনের যাচাই বাছাই ১৯ মে, মনোনয়ন পএ প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৬ মে এবং প্রতিক বরাদ্দ দেওয়া হবে ২৭ মে।